লোহার পুল

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

ঢাকার ইতিহাসের সাথে জড়িত অসংখ্য লোহার পুলের কথা লেখাটিতে উঠে এসেছে। তবে, লেখাটিতে উল্লেখিত দুটি লোহার পুলকে আলাদা করে চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি ধোলাইখালের উপর নির্মিত একটি ঝুলন্ত সেতু, যার নির্মাণের কাজ ১৮২৮ সালে শুরু হয়েছিল এবং দুই বছর সময় নিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালটার্স এটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই পুলটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে লেখাটিতে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। দ্বিতীয়টি হলো তুরাগ নদীর উপর নির্মিত আমিনবাজার লোহার ব্রিজ। এই সেতুটি ১৮৩২ সালে নির্মিত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। ১৯৭১ সালে এটি ছিল মিত্রবাহিনী ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে অলঙ্ঘনীয় সীমান্ত। শেষ পর্যন্ত ২০২১ সালে এই ঐতিহাসিক ব্রিজটি একটি বালুবাহী জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। এই দুটি লোহার পুলের মধ্যে কার্যত ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে - অবস্থান, ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং বর্তমান অবস্থা সব দিকেই।

প্রথম লোহার পুলের সঠিক অবস্থান নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি। তবে, লেখা থেকে বোঝা যায় যে এটি ঢাকার কে বি রোডে জহির রায়হান নাট্যকেন্দ্রের কাছে অবস্থিত ছিল। বর্তমানে ওই স্থানে খাল এবং সেতু নেই। দ্বিতীয় লোহার পুল (আমিনবাজার লোহার ব্রিজ) তুরাগ নদীর উপর অবস্থিত ছিল।

উভয় পুলই ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে জড়িত। ধোলাইখালের উপরের পুলটি নারায়ণগঞ্জের সাথে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিনবাজার লোহার ব্রিজ ঢাকা আরিচা রাস্তার অংশ ছিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • ধোলাইখালের উপরের লোহার পুলটি ১৮২৮ সালে নির্মিত হয়।
  • তুরাগ নদীর উপরের আমিনবাজার লোহার ব্রিজটি ১৮৩২ সালে নির্মিত হয়।
  • আমিনবাজার লোহার ব্রিজটি মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিচিহ্ন ছিল।
  • ২০২১ সালে আমিনবাজার লোহার ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।
  • ধোলাইখালের উপরের পুলটির বর্তমান অবস্থা অজানা।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।