লিভ টুগেদার: আধুনিকতার নামে একটি ভয়ঙ্কর ভাইরাস
সব যুগেই তথাকথিত আধুনিকতার নামে সমাজে নতুন নতুন পাপের জন্ম হয়, যা ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পড়ে এক জনপদ থেকে অন্য জনপদে। লিভ টুগেদার ঠিক তেমনি একটি ভাইরাস। বিয়ের আগে গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ডের একসাথে বসবাসকে লিভ টুগেদার বলা হয়। বাংলাদেশে, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, পরিচয় গোপন করে কিছু যুগল এ কাজে লিপ্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইসলাম ধর্মে একে জিনা বা ব্যভিচার বলে মনে করা হয়। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ।’ (সুরা : ইসরা/বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩২)। শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াও একসাথে থাকা, দেখা, কথা বলা ইত্যাদিও ব্যভিচারের অন্তর্ভুক্ত বলে ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘চোখের ব্যভিচার হলো (বেগানা নারীকে) দেখা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো (তার সঙ্গে) কথা বলা’ (বুখারি, হাদিস : ৬২৪৩) এবং ‘দুই চোখের জিনা (বেগানা নারীর দিকে) তাকানো, কানের জিনা যৌন উদ্দীপ্ত কথা শোনা, মুখের জিনা আবেগ উদ্দীপ্ত কথা বলা, ইত্যাদি’ (মেশকাত, হাদিস : ৮৬)। লিভ টুগেদারের মাধ্যমে এই সকল গুনাহ প্রতিনিয়ত সংঘটিত হয়।
এই কাজের ফলে সমাজে অশান্তি, দুর্যোগ দেখা দেয়। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের কারণে সমুদ্রে ও স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়ে’ (সুরা : রুম, আয়াত : ৪১)। এই পাপ থেকে তাওবা করে ভবিষ্যতে এড়িয়ে চলা উচিত। লিভ টুগেদার প্রমোট করাও জঘন্য অপরাধ। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে মর্মন্তুদ শাস্তি’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১৯)। আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই জঘন্য গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। আমিন।