লিথুয়ানিয়া

লিথুয়ানিয়া: উত্তর ইউরোপের একটি বাল্টিক রাষ্ট্র

লিথুয়ানিয়া (লিথুনীয় ভাষায়: Lietuva) উত্তর ইউরোপের একটি সুন্দর ও প্রাচীন রাষ্ট্র। লাতভিয়া ও এস্তোনিয়ার সাথে মিলে এটি বাল্টিক রাষ্ট্রত্রয়ের অন্যতম। ভিলনিয়াস এর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এর সীমান্তে রয়েছে লাতভিয়া (উত্তরে), বেলারুশ (পূর্ব ও দক্ষিণে), পোল্যান্ড (দক্ষিণ-পশ্চিমে) এবং রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদ ওবলাস্ত (দক্ষিণ-পশ্চিমে)। বাল্টিক সাগর লিথুয়ানিয়ার পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত।

ঐতিহাসিক লিথুয়ানিয়া:

লিথুয়ানিয়ার ইতিহাস সমৃদ্ধ ও জটিল। একসময় এটি বিশাল আকারের একটি রাজ্য ছিল, যার অধীনে বর্তমান বেলারুশ ও ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯১৮ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর লিথুয়ানিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু ১৯৪০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন এটিকে দখল করে নেয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রায় ৫০ বছর সোভিয়েত শাসনের অধীনে থাকে। ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর লিথুয়ানিয়া আবারও স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৯১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়। ১৯৯২ সালে দেশটিতে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও অর্থনীতি:

লিথুয়ানিয়া অরণ্য, নদী ও হ্রদে পরিপূর্ণ একটি দেশ। জনসংখ্যা প্রধানত লিথুয়ানীয় এবং রোমান ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী। রুশ ও পোলীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও এখানে বসবাস করে। ১৯৯০-এর দশকে অর্থনীতির বিরাষ্ট্রীয়করণের পর দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছে। বর্তমানে লিথুয়ানিয়া ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। ২০২২ সালে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। মাথাপিছু আয় ২৮,০০০ মার্কিন ডলারের বেশি এবং জিডিপি ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী লিথুয়ানিয়ার জনসংখ্যা ২.৮০১ মিলিয়ন।

উল্লেখযোগ্য তথ্য:

  • লিথুয়ানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সদস্য।
  • ভিলনিয়াস লিথুয়ানিয়ার রাজধানী।
  • লিথুয়ানিয়ার অর্থনীতি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।
  • লিথুয়ানিয়ার ইতিহাস সমৃদ্ধ ও জটিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • লিথুয়ানিয়া উত্তর ইউরোপের একটি বাল্টিক রাষ্ট্র
  • ভিলনিয়াস এর রাজধানী
  • ১৯১৮ সালে স্বাধীনতা লাভ, ১৯৪০ সালে সোভিয়েত দখল
  • ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য
  • অর্থনীতি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে