লায়লা

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

লায়লা নামটি দুইজন বিশিষ্ট মহিলার সাথে জড়িত। একজন লায়লা সামাদ (১৯২৮-১৯৮৯), সাংবাদিক, লেখিকা, নাট্যকর্মী এবং নারী সংগঠক। অন্যজন লায়লা আর্জুমান্দ বানু (১৯২৯-১৯৯৫), গায়িকা ও সমাজকর্মী।

লায়লা সামাদ: কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী লায়লা সামাদ, দিনাজপুরের মির্জাপুর গ্রামের পৈতৃক নিবাসে বেড়ে ওঠেন। তিনি কলকাতার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করেছেন এবং পরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসাবে বি.এ পাশ করেন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এম.এ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বেগম, সংবাদ, চিত্রালী, পূর্বদেশ, দৈনিক বাংলাসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে কাজ করেছেন এবং অনন্যা ও বিচিত্রা নামক মাসিক ও পাক্ষিক পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন। লায়লা সামাদ একজন সুদক্ষ লেখিকাও ছিলেন। 'দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে', 'কুয়াশার নদী', 'অরণ্যে নক্ষত্রের আলো', 'অমূর্ত আকাঙ্ক্ষা' ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তিনি মঞ্চ ও বেতার নাটকেও অভিনয় করেছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে 'জবানবন্দী' নাটকে পুরুষদের সাথে প্রথম অভিনয়কারী মহিলা হিসেবে পরিচিত। 'ছেঁড়া তাঁর' ও 'কাফের' তার দুটি বিখ্যাত নাটক। তিনি চারণিক নাট্য গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এবং ঢাকা সিনে ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সাহিত্য, অভিনয় ও সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য তিনি লেখিকা সংঘের নুরুন্নেসা খাতুন বিদ্যাবিনোদিনী স্বর্ণপদক, সুফী মোতাহার হোসেন স্বর্ণপদক, বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, ও হাসান হাফিজুর রহমান স্বর্ণপদক লাভ করেন। ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।

লায়লা আর্জুমান্দ বানু: লায়লা আর্জুমান্দ বানু একজন বিশিষ্ট গায়িকা ও সমাজকর্মী। তিনি ১৯২৯ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার ইডেন বালিকা বিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। ওস্তাদ গুল মুহম্মদ খানের কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম গ্রহণ করেন। ১৯৩৯ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে অল ইন্ডিয়া রেডিওর ঢাকা কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একক গান পরিবেশন করেন। নজরুল গীতি, রবীন্দ্র সঙ্গীত, গজল, আধুনিক ও লোকসংগীত- সকলেরই তিনি ছিলেন দক্ষ শিল্পী। তিনি ইরানের শাহ রেজা পাহলবীর নিকট থেকে ‘অভিষেক পদক’ এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের নিকট থেকে ‘প্রাইড অব পারফরমেন্স’ পুরস্কার পান। ঢাকা সঙ্গীত কলেজের অবৈতনিক অধ্যক্ষও ছিলেন। ঢাকা জাদুঘরের ট্রাস্টি, ‘নজরুল স্বরলিপি শুদ্ধীকরণ বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সংস্কৃতি কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এবং এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তার মৃত্যু হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • লায়লা সামাদ ছিলেন একজন সাংবাদিক, লেখিকা ও নাট্যকর্মী।
  • তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার লাভ করেছেন।
  • লায়লা আর্জুমান্দ বানু ছিলেন একজন বিখ্যাত গায়িকা ও সমাজকর্মী।
  • তিনি ১০ বছর বয়সে ঢাকা বেতারে গান পরিবেশন শুরু করেছিলেন।
  • তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - লায়লা

ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

আশিক বন্ধু কর্তৃক রচিত ‘বন্ধু’ শীর্ষক গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন।