লাচুং

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৪০ এএম

লাচুং: সিকিমের মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি স্টেশন

সিকিমের উত্তর সিকিম জেলায় অবস্থিত লাচুং হল একটি ছোট্ট কিন্তু অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি স্টেশন। প্রায় ৯৬০০ ফুট (২৯০০ মিটার) উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থানটি লাচেন ও লাচুং নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত, যা তিস্তা নদীর উপনদী। গ্যাংটক থেকে লাচুং এর দূরত্ব প্রায় ১২৫ কিলোমিটার (৭৮ মাইল)। লাচুং শব্দের অর্থ "ছোট গমনপথ"।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

১৯৫০ সালে চীনের তিব্বত দখলের পূর্বে লাচুং সিকিম ও তিব্বতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ঘাটি লাচুংয়ে অবস্থিত।

ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য ও জনসংখ্যা:

লাচুংয়ের অধিকাংশ বাসিন্দা লেপচা ও তিব্বতীয় বংশোদ্ভূত। নেপালি, ভুটিয়া ও লেপচা ভাষা এখানে প্রচলিত। শীতকালে লাচুং তুষারে ঢাকা থাকে।

অর্থনীতি:

ভারত সরকার পর্যটন উন্নয়নের উদ্যোগের ফলে লাচুংয়ের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে। অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত পর্যটকরা ইয়ামথাং ভ্যালি ও লাচুং মনাস্ট্রি দেখতে লাচুং ভ্রমণ করে।

পর্যটন আকর্ষণ:

লাচুংয়ের উল্লেখযোগ্য আকর্ষণগুলি হল ইয়ামথাং ভ্যালি, লাচুং মনাস্ট্রি, এবং রডোডেনড্রন ভ্যালি ট্রেক যা ইয়ামথাং ভ্যালি থেকে লাচেন ভ্যালি পর্যন্ত বিস্তৃত। লাচুং এর কাছে ফুনিতে স্কিইং এর সুযোগও রয়েছে।

বিখ্যাত ব্যক্তি:

যুক্তরাজ্যের ভ্রমণকারী জোসেফ ডাল্টন হুকার ১৮৫৫ সালে প্রকাশিত 'দ্য হিমালয়ান জার্নাল' পত্রিকায় লাচুংকে "সিকিমের সবচেয়ে মনোরম গ্রাম" বলে বর্ণনা করেছিলেন।

আরও তথ্য:

লাচুং সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • লাচুং হল সিকিমের একটি পাহাড়ি স্টেশন যা ৯৬০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত।
  • এটি লাচেন ও লাচুং নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।
  • ১৯৫০ সালের পূর্বে এটি সিকিম ও তিব্বতের মধ্যে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল।
  • বর্তমানে পর্যটন লাচুংয়ের অর্থনীতির অন্যতম উৎস।
  • ইয়ামথাং ভ্যালি, লাচুং মনাস্ট্রি, এবং রডোডেনড্রন ভ্যালি ট্রেক লাচুংয়ের আকর্ষণ।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - লাচুং

এই স্থানে একটি সেতু ভেঙে পড়েছে।