লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির অবাধ বিস্তার: জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট ঝুঁকি

বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। ঔষধ ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ অভাব, অযোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা ঔষধ বিক্রয়, জাল ও নকল ঔষধের ব্যাপক প্রসার - এসবই এই লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলোর সাথে জড়িত। এই অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঔষধের সঠিক সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না, যার ফলে ঔষধের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দুর্ভাগ্যবশত, এই সমস্যাটির কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং সরকারী সূত্রের তথ্য নির্দেশ করে যে দেশের অনেক স্থানেই এই লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি চালু থাকে। গ্রামীণ অঞ্চলে এই সমস্যা বেশি প্রকট। এসব ফার্মেসি অনেক ক্ষেত্রে দোকানের এক কোণে অথবা খুচরা দোকানের সাথে যুক্ত হিসেবে চালু থাকে।

এই অবস্থার উন্নতির জন্য সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ প্রয়োজন। নিয়মিত তদারকি, কঠোর শাস্তি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধি এর জন্য অপরিহার্য। জনগণকে সচেতন করা জরুরী যে লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি থেকে ঔষধ কিনলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এছাড়াও, সরকার মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ঔষধ বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করতে পারে।

সারকথা, লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির ব্যাপক প্রসার বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা। এর মোকাবেলা করার জন্য সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সমাজের সকল পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

মূল তথ্যাবলী:

  • লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসির সংখ্যা বাড়ছে
  • জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট ঝুঁকি
  • ঔষধের সঠিক সংরক্ষণের অভাব
  • জাল ও নকল ঔষধের প্রসার
  • সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজন

গণমাধ্যমে - লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি

অজানা

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসিগুলিতে ওষুধ প্রশাসনের নিয়মনীতি মানা হচ্ছে না।