লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া: স্বপ্নের নগরী, আধুনিকতার প্রতীক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত লস অ্যাঞ্জেলেস, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও জনবহুল মহানগরী। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত এই নগরীটি তার চলচ্চিত্র শিল্প, হলিউড, বহুজাতিক সংস্কৃতি, আধুনিক অবকাঠামো এবং গতিশীল অর্থনীতির জন্য বিখ্যাত। এটি কেবলমাত্র একটি শহর নয়, বরং একটি বিশাল মহানগর অঞ্চল যা ১ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল।
লস অ্যাঞ্জেলেসের ইতিহাস: ১৭৮১ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর স্পেনীয় উপনিবেশিকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত 'এল পুয়েবলো দে নুয়েস্ত্রা রেইনা দে লোস আনহেলেস' নামে এই বসতিটি পরবর্তীতে লস অ্যাঞ্জেলেস নামে পরিচিতি পায়। ১৮২১ সালে মেক্সিকোর স্বাধীনতার পর মেক্সিকোর অংশ হয় এবং ১৮৪৮ সালে মেক্সিকো-মার্কিন যুদ্ধের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে চলে আসে। ১৮৫০ সালে এটি পৌরসভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
ভৌগোলিক অবস্থান এবং জলবায়ু: পাহাড়, উপত্যকা, সমুদ্র সৈকতের এক অপূর্ব সমন্বয়ে গঠিত লস অ্যাঞ্জেলেসের জলবায়ু মৃদু ও ভূমধ্যসাগরীয়। গ্রীষ্ম গরম ও শুষ্ক, আর শীত মৃদু ও বৃষ্টিবহুল। সান্তা মনিকা পর্বতমালা এবং সান গ্যাব্রিয়েল পর্বতমালা শহরটিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে।
অর্থনৈতিক কার্যকলাপ: লস অ্যাঞ্জেলেস বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনৈতিক কেন্দ্র। চলচ্চিত্র শিল্প, বিনোদন শিল্প, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, পর্যটন প্রভৃতি ক্ষেত্রে এর অবদান অপরিসীম। হলিউড, বিশ্বের বিনোদন শিল্পের প্রাণকেন্দ্র, লস অ্যাঞ্জেলেসেই অবস্থিত।
জনসংখ্যাগতি: লস অ্যাঞ্জেলেস বহুজাতিক ও বহুসাংস্কৃতিক শহর। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে মেক্সিকান, কোরীয়, সালভাদোরীয় ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় আছে। ইংরেজি ও স্প্যানিশ উভয় ভাষা ব্যবহার হয়।
উল্লেখযোগ্য স্থান: হলিউড, হলিউড সাইন, গ্রিফিথ অবজারভেটরি, গেটি জাদুঘর, লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অফ আর্ট, লস অ্যাঞ্জেলেস সমুদ্রবন্দর, লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এলএএক্স), ডজার স্টেডিয়াম, ওলভেরা স্ট্রিট ইত্যাদি লস অ্যাঞ্জেলেসের কিছু উল্লেখযোগ্য স্থান।