লতিফুল ইসলাম শিবলী

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম

লতিফুল ইসলাম শিবলী: বাংলাদেশের সংগীত জগতের এক অমূল্য সম্পদ

লতিফুল ইসলাম শিবলী, বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার, সংগীত শিল্পী, নাট্যকার, লেখক, অভিনেতা এবং কবি। তার জন্ম ১৪ এপ্রিল (সন উল্লেখ নেই)। ৯০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হন এবং প্রায় ৩০০টিরও বেশি গান রচনা করেন। তিনি কবি নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

শিবলী'র সৃজনশীলতা কেবলমাত্র সংগীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি একাধিক নাটক রচনা করেছেন, যার মধ্যে 'তোমার চোখে দেখি' উল্লেখযোগ্য। তিনি নিজের লেখা নাটক 'রাজকুমারী' (১৯৯৭) তে মির্জা গালিবের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন। এছাড়াও, তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য রচনা করেছেন, যার মধ্যে 'পদ্ম পাতার জল' উল্লেখযোগ্য। বাংলা একাডেমী তার 'বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীত আন্দোলন' (১৯৯৭) নামক গবেষণামূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ প্রকাশ করেছে, যা ব্যান্ড সংগীতের উপর লিখিত প্রথম ও একমাত্র গবেষণাধর্মী গ্রন্থ বলে পরিচিত।

শিবলী তার আধুনিক জীবনযন্ত্রণাগ্রস্ত তারুণ্যের ভাষাকে 'রক' সংগীতের সহজ সরল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। তার এই সাবলীলতা ও সৃজনশীলতা তাকে দেশের ব্যান্ড সংগীত জগতের একজন কিংবদন্তী গীতিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি 'সং অফ বিলিভ' নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করেছেন। তিনি দুই সন্তানের জনক, যাদের নাম ওমর ও ওসমান। লতিফুল ইসলাম শিবলী বাংলাদেশের সংগীত ও নাট্য জগতের একজন অমূল্য সম্পদ, যার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • লতিফুল ইসলাম শিবলী একজন বিশিষ্ট গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী।
  • তিনি ৯০-এর দশকে ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
  • তিনি একজন সফল নাট্যকার ও অভিনেতা।
  • ‘রাজকুমারী’ নাটকে মির্জা গালিবের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।
  • তার লেখা ‘বাংলাদেশে ব্যান্ড সংগীত আন্দোলন’ গবেষণাগ্রন্থ বাংলা একাডেমী প্রকাশ করেছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - লতিফুল ইসলাম শিবলী

লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক, ‘বিদ্রোহী চত্বর’ নির্মাণের বিষয়ে তথ্য প্রদান করেছেন।

২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

লতিফুল ইসলাম শিবলী মাহমুদ মানজুর কে পুরস্কার প্রদান করেছেন।