রেল অবরোধ: বিভিন্ন ঘটনা ও প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে রেল অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রতিবেদনে আমরা কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার বিবরণ তুলে ধরবো:
১. গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলন:
গত ১১ ডিসেম্বর, পশ্চিমবঙ্গের জোরাই রেল স্টেশনে গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (GCPA) পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিতে রেল অবরোধ করে। প্রায় ৫০০০ সমর্থক রেল লাইনে বসে পড়েন, যার ফলে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে ৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার ক্ষতির কথা জানানো হয় এবং GCPA নেতাদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। GCPA সভাপতি বংশীবদন বর্মন এই নোটিশকে গুরুত্ব না দিয়ে তাদের আন্দোলনের গণতান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেন।
২. বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ:
গত ১৭ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা ঢাকার কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং অবরোধ করেন। পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া থাকার অভিযোগে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন, যার ফলে দেশের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আলোচনার চেষ্টা করেন।
৩. যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আন্দোলন:
যশোর-ঢাকা রেল যোগাযোগ উন্নয়নের দাবিতে বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি ৩ ডিসেম্বর যশোর রেলওয়ে জংশনে রেল অবরোধ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি, যশোর থেকে পদ্মাসেতু দিয়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায় যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা।
উল্লেখ্য, এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্যগুলি সীমিত। আমরা আরও তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদনটি পরবর্তীতে আপডেট করবো।