রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:২৭ এএম
নামান্তরে:
রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
Rudra Mohammad Shahidullah
Rudra Muhammad Shahidullah
Rudro Muhammad Shahidullah
রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ
রুদ্র মহম্মদ শহীদুল্লাহ
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (১৬ অক্টোবর ১৯৫৬ - ২১ জুন ১৯৯১): বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট কবি ও গীতিকার। তিনি তার প্রগতিশীল ও রোমান্টিক কবিতা এবং অর্ধশতাধিক গানের জন্য সুপরিচিত।

জন্ম ও প্রাথমিক জীবন:

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশালের আমানতগঞ্জ রেডক্রস হাসপাতালে। তার পৈতৃক বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার সাহেবের মেঠ গ্রামে। পিতা ডাঃ শেখ ওয়ালীউল্লাহ এবং মাতা শিরিয়া বেগম। শৈশবকাল অতিবাহিত হয় মোংলার মিঠাখালী গ্রামে। ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যের প্রতি তার দারুণ আগ্রহ ছিল। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন সময়ে বোনের ট্রাঙ্ক থেকে টাকা ধার করে তিনি ও তার মামাতো ভাইরা 'বনফুল' নামে একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলেন।

শিক্ষাজীবন ও কর্মজীবন:

সেন্ট জোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ১৯৮০ সালে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৮৩ সালে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি কবিতা, গান, গল্প ও নাটক রচনা শুরু করেন। তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।

সাহিত্যকর্ম:

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ প্রায় ৭ টি কাব্যগ্রন্থ, গল্প, কাব্যনাট্য এবং 'ভালো আছি ভালো থেকো'সহ অসংখ্য গান রচনা করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কবিতাগুলির মধ্যে 'বাতাসে লাশের গন্ধ' অন্যতম।

ব্যক্তিগত জীবন:

তিনি ১৯৮১ সালে তসলিমা নাসরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৮৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

মৃত্যু:

১৯৯১ সালের ২১ জুন ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে হঠাৎ করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। বাগেরহাট জেলার মোংলার মিঠাখালীতে তার সমাধিস্থ। তার স্মরণে 'রুদ্র স্মৃতি সংসদ' গঠিত হয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৫৬ সালে বরিশালে জন্ম
  • ১৯৯১ সালে মৃত্যু
  • বিখ্যাত কবি ও গীতিকার
  • 'বাতাসে লাশের গন্ধ' সহ অনেক জনপ্রিয় কবিতার রচয়িতা
  • সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদের সাথে যুক্ত
  • তসলিমা নাসরিনের সাথে বিবাহ
  • 'রুদ্র স্মৃতি সংসদ' তার স্মৃতিতে গঠিত

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।