রাশিফল: জ্যোতিষশাস্ত্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের জীবনে রাশিফলের গুরুত্ব অপরিসীম। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎবাণী করা, ব্যক্তির স্বভাব ও ভাগ্য সম্পর্কে ধারণা দেওয়া – রাশিফলের মূল কাজ। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে রাশিফলের ধারণা ও পদ্ধতি আলাদা আলাদা। হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে কুন্ডলী পরীক্ষা করে শুভ কাজ শুরু করা হয়। পশ্চিমী জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্য চিহ্ন ও রাশিচক্রের উপর ভিত্তি করে রাশিফল তৈরী করা হয়। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে জ্যোতিষশাস্ত্রকে অপবিজ্ঞান হিসেবে ধরা হয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রাশিফলের কোনো বৈধতা নেই। তবুও, অনেক মানুষ আজও রাশিফলের উপর নির্ভর করে। রাশিফলের জনপ্রিয়তা সমাজের বিভিন্ন স্তরে দেখা যায়। তবে রাশিফলকে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে গ্রহণ করা যায় না। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ ও বহুল প্রযোজ্য বর্ণনা যা বেশিরভাগ মানুষের সাথে মিলে যায়, এবং একই সাথে মনস্তাত্ত্বিক বার্নাম প্রভাবের কাজ করে।
রাশিফল
মূল তথ্যাবলী:
- রাশিফল গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎবাণী করে
- হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে কুন্ডলী পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ
- পশ্চিমী জ্যোতিষশাস্ত্রে সূর্য চিহ্ন ও রাশিচক্রের উপর ভিত্তি করে রাশিফল
- বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে রাশিফলের কোনো বৈধতা নেই
- রাশিফলের জনপ্রিয়তা অব্যাহত রয়েছে