রামচন্দ্র নামটি দুটি ভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বোঝাতে পারে, তাই বিভ্রান্তি এড়াতে প্রসঙ্গভেদে তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন।
১. রাম ঠাকুর (১৮৬০-১৯৪৯): বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ধর্মগুরু এবং সাধক। তার জন্ম ১৮৬০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার ডিঙ্গামানিক গ্রামে। পিতা শ্রীরাধামাধব চক্রবর্তী এবং মাতা শ্রীমতি কমলাদেবী। শৈশবেই তিনি রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণ চর্চায় লিপ্ত হন। ১৮৭২ সালে তিনি গৃহত্যাগ করে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। আসামের কামাক্ষ্যাদেবীর মন্দিরে তিনি একজন জ্যোতির্ময় মহাপুরুষকে গুরু হিসেবে বরণ করেন। দীর্ঘ তপস্যা ও সাধনার পর তিনি মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। নোয়াখালী ও ফেনীতে তিনি মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। সমাজের নিম্নবর্গের প্রতি তার অসীম করুণা ও সেবাপরায়ণতা ছিল তাঁর জীবনের বৈশিষ্ট্য। তিনি ১৯৪৯ সালের ১ মে ৯০ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।
২. রামচন্দ্র পাওদেল: নেপালের একজন রাজনীতিবিদ, যিনি নেপালি কংগ্রেস দলের সদস্য। ২০২৩ সালে তিনি নেপালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, রামচন্দ্র নামটি সাধারণ নাম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই রামচন্দ্র সম্পর্কে আরও স্পষ্ট তথ্যের জন্য বিষয়বস্তুতে উল্লেখিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা জরুরী।