নেপালের রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হলেন কেপি শর্মা ওলি। তিনি একজন অভিজ্ঞ কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ এবং নেপালের একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তেহরথুমের ইওয়ায় জন্মগ্রহণকারী ওলির পূর্ণ নাম খড়্গ প্রসাদ শর্মা ওলি। তার পিতা মোহন প্রসাদ ওলি ছিলেন একজন কৃষক। ওলির রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্রজীবনে, যখন তিনি জাপা বিদ্রোহের সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের সদস্য হন এবং বহু বছর কারাবরণ করেন।
১৯৯১ সালে নেপালের সংবিধান সভা নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ওলি। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন, যার মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখযোগ্য। ২০১৫ সালে প্রথমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০১৮, ২০২১ এবং ২০২৪ সালেও এই পদে অধিষ্ঠিত হন। তার প্রধানমন্ত্রী কালে নেপালের ভূখণ্ডের নকশার সংশোধন, চীনের সাথে সম্পর্ক জোরদার, ভারতের সাথে সম্পর্কের উত্থান-পতন সহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে। ওলির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিতর্কিতও ছিল, তাকে কখনো কখনো স্বৈরাচারী এবং দুর্নীতিবাজ বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে তিনি নেপালের জাতীয়তাবাদী রাজনীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃত।
ওলি কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউনিফাইড মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট) এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি রাধাকৃষ্ণ মৈনালী, মোহন চন্দ্র অধিকারী এবং রামনাথ দাহালের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। ২০০৭ সালে তিনি অ্যাপোলো হাসপাতাল, নয়াদিল্লীতে এবং ২০২০ সালে ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষণ হাসপাতাল, কাঠমান্ডুতে কিডনি প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচার করান। তিনি রাধিকা শাক্যের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। তিনি বর্তমানে ভক্তপুরের বালকোটে এবং ঝাপার দমকে বসবাস করেন।