রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া স্থাপনা। ২০০৪ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় জাতীয় নেতা মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নামানুসারে। পূর্বে এটি রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল।
স্টেডিয়ামটি প্রাথমিকভাবে ১৫,০০০ দর্শক ধারণক্ষমতা নিয়ে নির্মিত হলেও, পরবর্তীতে উন্নয়নের মাধ্যমে এর ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫,০০০-এ পৌঁছেছে। এই স্টেডিয়ামে ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের তিনটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের চারটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সম্প্রতি সরকারের তহবিলের সাহায্যে স্টেডিয়ামটির উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যার ফলে দর্শক ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মাঠের মান উন্নত হয়েছে। এটি জাতীয় ক্রিকেট লিগে রাজশাহী বিভাগের হোম গ্রাউন্ড হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। স্টেডিয়ামটির পাশে ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমী অবস্থিত।
২০২৩ সালে, দীর্ঘ ১৩ বছর পর, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মধ্যে তিনটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ঘটনা রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনের জন্য এক উল্লেখযোগ্য অর্জন। স্টেডিয়ামটির উন্নত অবকাঠামো, অবস্থান এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম উত্তরাঞ্চলের ক্রীড়াঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং এটি বাংলাদেশের ক্রীড়া ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে রেখেছে।