রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৫:০০ এএম

রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ

রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, বাংলাদেশের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংস্থা। এটি শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান নয়, বরং একটি দেশব্যাপী আন্দোলন, যার লক্ষ্য গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলা। এই কেন্দ্রটি ১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মূল কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত। তবে দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এর শাখা রয়েছে। প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে এই কেন্দ্র। শুধুমাত্র বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা নয়, এটি সংস্কৃতিচর্চা এবং জ্ঞানের বহুমুখী চর্চা ও অনুশীলনের জন্যেও কাজ করে।

এই সংগঠনের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। ২০২৩ সালে, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ১২৮টি স্থানে এ বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই ভ্রাম্যমাণ মেলায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি গাড়ি ১০ হাজার করে বই নিয়ে বিভিন্ন স্থানে যায় এবং বইগুলি ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হয়।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের কার্যক্রম শুধু বই বিতরণে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বই পড়া কর্মসূচি, আলোর ইশকুল, আলোর পাঠশালা (অনলাইন বই পড়া কর্মসূচি) এবং নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই কেন্দ্রের নিজস্ব একটি সুবিশাল গ্রন্থাগারও রয়েছে।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ছিলেন এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত অধ্যাপক ও সাহিত্যিক। তার ষাটের দশকে বাংলাদেশে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার জন্য, আমরা পরবর্তীতে আপনাকে আরও তথ্য দিতে পারবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের উদ্যোগে
  • দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব
  • প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে
  • শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রসার

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।