রাজকুমার রাও: একজন সাধারণ মানুষের অসাধারণ সাফল্যের গল্প
নিজের মেধা, পরিশ্রম আর আত্মোৎসর্গ দিয়ে বর্তমান ভারতীয় সিনেমার ঝলমলে দুনিয়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন রাজকুমার রাও। খুব কম সময়ে তিনি একজন শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করে তিনি নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন।
১৯৮৪ সালের ৩১শে আগস্ট হরিয়ানার গুরগাঁও-এ জন্মগ্রহণ করেন রাজকুমার। গুড়গাঁওয়ের এসএইচ.এস.এন. সিদ্ধেশ্বর পাবলিক স্কুলে স্কুলজীবন শেষ করে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আত্মা রাম সনাতন ধর্ম কলেজ থেকে কলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর পুনের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া থেকে অভিনয়শিল্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুম্বাইয়ে চলে আসেন।
২০১০ সালে ‘লাভ সেক্স অর ধোঁকা’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। কয়েকটি ছোট ভূমিকার পর ২০১৩ সালে ‘শহীদ’ ছবিতে শহীদ আজমীর চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন। ‘কাই পো চে!’ ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন পান। এরপর ‘কুইন’, ‘আলিগড়’, ‘বারেলী কি বারফি’, ‘ট্র্যাপড’, ‘নিউটন’, ‘স্ত্রী’ সহ অনেক জনপ্রিয় ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। ‘Badhaai Do’ ছবিতে একজন সমকামী পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
রাজকুমার রাও নিজের চরিত্রের প্রতি অসাধারণ তৈরি ও আত্মনিয়োগের জন্য পরিচিত। প্রতিটি চরিত্রেই নিজেকে মিলিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর অসাধারণ। ‘নিউটন’ ছবিতে একজন সৎ সরকারি কর্মচারীর চরিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের মনে স্থান পেয়েছে। ‘স্ত্রী’ ছবিতে তার কৌতুক আর রোমান্সের মিশ্রণ চমৎকার। তার অভিনয় দর্শকদের কাছে সর্বদাই প্রশংসিত হয়েছে।
২০১০ সালে অভিনেত্রী পত্রলেখা পলের সাথে সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে রাজকুমারের। ২০১৪ সালে তারা প্রকাশ্যে সম্পর্কের কথা জানান এবং ২০১৭ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
রাজকুমার রাও শুধু একজন অভিনেতা নন, তিনি একজন কৃতী মানুষ যিনি নিজের কাজের প্রতি সমর্পণে সফলতার শিখরে পৌঁছেছেন। তাঁর গল্প অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা ও শিক্ষা দান করবে।