রাকেশ রোশন: এক অভিনেতা, এক পরিচালক, এক কিংবদন্তী
রাকেশ রোশন (জন্মনাম: রাকেশ রোশন লাল নাগরাথ, জন্ম: ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯) ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এক অমূল্য সম্পদ। একজন অভিনেতা হিসেবে যাত্রা শুরু করে পরবর্তীতে তিনি একজন সফল পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবে নিজের নাম খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে গেছেন। ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সঞ্জীব কুমার ও রাজেশ খান্নার মতো তারকার সঙ্গে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৮৭ সালে 'খুদগর্জ' ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক ঘটে।
পরিচালক হিসেবে তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল 'খুদগর্জ' (১৯৮৭), 'খুন ভরী মাঙ্গ' (১৯৮৮), 'কিষেণ কানাইয়া' (১৯৯০), 'করণ অর্জুন' (১৯৯৫), 'কহো না... প্যার হ্যায়' (২০০০), 'কোই... মিল গয়া' (২০০৩) এবং এর ধারাবাহিক কৃষ (২০০৬) এবং কৃষ ৩ (২০১৩)। 'কহো না... প্যার হ্যায়' এবং 'কোই... মিল গয়া' চলচ্চিত্রের জন্য তিনি একাধিক পুরষ্কার লাভ করেন।
১৯৪৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বোম্বেতে জন্মগ্রহণ করেন রাকেশ। জন্মসূত্রে তিনি পাঞ্জাবি। তার পিতা রোশন লাল নাগরথ ছিলেন একজন সঙ্গীত পরিচালক এবং মাতা অর্পণা। ১৬ বছর বয়সে পিতার মৃত্যুর পর তিনি চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তার ছোট ভাই রাজেশ রোশনও একজন সঙ্গীত পরিচালক।
রাকেশ রোশন বেশ কিছু ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ১৯৭০ সালে 'ঘর ঘর কি কাহানী' চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তাঁর অভিনীত কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল 'মন মন্দির', 'খেল খেল মে', 'বুলেট', 'হত্যারা', 'ডঙ্গি', 'খান্দান', 'নিয়ত', 'চলতা পুরজা', 'ধনবান', 'আওয়াজ', 'আখির কিউ?', 'দেবতা', 'শ্রীমান শ্রীমতি', 'হাতকড়ি', 'খাট্টা মিঠা', 'দিল অউর দিওয়ার', 'উনিশ-বিশ' এবং 'জাগ উঠা ইনসান'।
১৯৮০ সালে তিনি নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান 'ফিল্মক্রাফট' প্রতিষ্ঠা করেন। 'আপ কে দিওয়ানে' ছবির মাধ্যমে প্রযোজনার শুরু। পরবর্তীতে 'কামচোর' এবং 'জাগ ওঠা ইনসান' প্রযোজনা করে ব্যবসাসফলতা অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে 'ভগবান দাদা' প্রযোজনা করেন।
১৯৮৯ সালে 'বহুরানী' ছবিতে সর্বশেষ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৭০ সালে পিঙ্কি রোশনকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান সুনয়না ও হৃতিক রোশন।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জানুয়ারী মাসে রাকেশ রোশনকে গলায় প্রাথমিক পর্যায়ের স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা ধরা পড়েছিল।