রহমতুল্লাহ: একাধিক ব্যক্তি ও প্রেক্ষাপট
'রহমতুল্লাহ' নামটি একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য রহমতুল্লাহ ব্যক্তিবর্গের তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো:
১. শাহনাজ রহমতুল্লাহ (গায়িকা):
বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ছিলেন শাহনাজ রহমতুল্লাহ (জন্ম: শাহনাজ বেগম, ২ জানুয়ারি ১৯৫২ - ২৩ মার্চ ২০১৯)। তিনি দেশাত্মবোধক গানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। 'এক নদী রক্ত পেরিয়ে', 'একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে', 'একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল্', 'প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ' – এসব তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম। তার তিনটি গান বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা বিশটি বাংলা গানের তালিকায় স্থান পেয়েছে। তিনি ১৯৯২ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯০ সালে 'ছুটির ফাঁদে' চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তার পিতার নাম এম ফজলুল হক ও মাতার নাম আসিয়া হক। তার ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং জাফর ইকবাল ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও গায়ক। তিনি গজল সম্রাট মেহেদী হাসানের কাছে গান শিখেছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি আবুল বাশার রহমতুল্লাহর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক কন্যা ও এক পুত্র ছিল। তিনি ২০১৯ সালের ২৩শে মার্চ ঢাকার বারিধারায় মারা যান।
২. এ.কে.এম. রহমতুল্লাহ (রাজনীতিবিদ):
এ.কে.এম. রহমতুল্লাহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ঢাকা-৫, ঢাকা-১০ ও ঢাকা-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার জন্ম ৪ ডিসেম্বর ১৯৫০। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তিনি ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
৩. রহমতুল্লাহ কাইরানভি (পণ্ডিত):
রহমতুল্লাহ কাইরানভি (১৮১৮–১৮৯১) ছিলেন একজন সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত ও লেখক। তিনি তার গ্রন্থ 'ইযহারুল হক' এর জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ১৮৭৪ সালে সৌদি আরবে প্রথম মাদ্রাসা 'মাদ্রাসা আস-সাওলাতিয়া' প্রতিষ্ঠা করেন। তার জন্ম ভারতের মুজাফফর নগর জেলার কীরানা গ্রামে।
উপরোক্ত তথ্য ছাড়াও অন্যান্য রহমতুল্লাহ নামের ব্যক্তিবর্গ সম্পর্কে যদি আরও তথ্য পাওয়া যায় তবে পরবর্তীতে আপডেট করা হবে।