রমজান

রমজান: ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম মাস

রমজান হলো ইসলামী চান্দ্র বর্ষপঞ্জীর নবম মাস এবং মুসলিমদের জন্য বছরের সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মুসলিমরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করে, যা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। রমজান মাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো রোজা, তাহাজ্জুদ, তারাবিহ নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত এবং দান-খয়রাত।

রমজান মাসের ইতিহাস ও তাৎপর্য:

ঐতিহাসিকভাবে, রমজান মাসকে ইসলামের পূর্বেও পবিত্র মাস হিসেবে গণ্য করা হতো। প্রথমে আল্লাহ্‌ তা’আলা রসূল মুহাম্মদ (সা.)-কে রমজান মাসে পবিত্র কুরআন অবতরণ করেন। এই মাসে পবিত্র কুরআন অবতরণের ঘটনাকে 'লাইলাতুল কদর' বলা হয়, যা রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে একটি রাতে ঘটে। এই রাতে ইবাদত করার সওয়াব হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক বলে মনে করা হয়। রমজান মাসে মুসলিমরা আল্লাহর প্রতি ভক্তি, আত্মসংযম এবং দানশীলতা বৃদ্ধি করে।

রমজানের রীতিনীতি:

রমজান মাসে মুসলিমরা ভোরে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করে এবং সন্ধ্যায় ইফতার করে রোজা ভাঙ্গে। সেহরি ও ইফতারের মধ্যবর্তী সময়ে খাদ্য-পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকার সাথে সাথে মুসলিমরা পাপাচার থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করে। এই মাসে তারাবিহ নামাজ পড়া হয়, কুরআন তিলাওয়াত করা হয় এবং অন্যদের সাথে দান-খয়রাত এবং সম্প্রীতির বার্তা ছড়ানো হয়।

রমজানের সমাপ্তি:

শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সাথে সাথেই রমজান মাসের সমাপ্তি ঘটে এবং ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদুল ফিতর হলো মুসলিমদের জন্য একটি বড় ধর্মীয় উৎসব।

রমজান: এক আধ্যাত্মিক যাত্রা

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য শুধুমাত্র রোজা পালনের সময় নয়; বরং এটি আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি, আত্মসংযম, অন্যদের প্রতি করুণা ও দানশীলতা বৃদ্ধির সময়। এটি আল্লাহর প্রতি নিকটবর্তী হওয়ার এবং ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী জীবন যাপনের এক অপূর্ব সুযোগ।

মূল তথ্যাবলী:

  • রমজান হলো ইসলামের নবম মাস
  • এই মাসে মুসলিমরা রোজা পালন করে
  • লাইলাতুল কদর রাতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছিল
  • রমজান শেষে ঈদুল ফিতর পালিত হয়
  • রোজা পালনের মাধ্যমে মুসলিমরা আধ্যাত্মিক পরিশুদ্ধি অর্জন করে