স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেছেন। গত ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ সালে মস্কোর ক্রেমলিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো নেতার মস্কো সফর বিরল ঘটনা। স্লোভাকিয়া রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরশীল এবং ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে গ্যাস সরবরাহ হয়। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার গ্যাস পরিবহন-সংক্রান্ত চুক্তি নবায়নের অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ফিকো পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেন। চুক্তির মেয়াদ চলতি বছর শেষ হচ্ছে এবং স্লোভাকিয়া গ্যাসের প্রবাহ বজায় রাখার চেষ্টা করছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার 'বিশেষ সামরিক অভিযান' শুরুর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় সরকারপ্রধান হিসেবে ফিকো রাশিয়া সফরে গেছেন। স্লোভাকিয়ার বিরোধীরা ফিকোর এই সফরকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। ফিকো ফেসবুকে জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের তিনি আগেই তার মস্কো সফরের বিষয়ে জানিয়েছিলেন এবং গত সপ্তাহে জেলেনস্কির সাথে আলোচনার পর পুতিনের সাথে সাক্ষাত করেন। জেলেনস্কি ইউক্রেনের ভেতর দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস পরিবহনের বিরোধিতা করেছেন। পুতিন নিশ্চিত করেছেন যে, স্লোভাকিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য তারা প্রস্তুত, তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বর্তমান অবস্থানের কারণে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে তা সম্ভব হবে না। ফিকো ২০২৩ সালে ক্ষমতায় আসেন এবং ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন। তিনি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে সামরিক সমাধানের বিরোধী এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন। বৈঠকে পুতিন ও ফিকো ইউক্রেনের সামরিক পরিস্থিতি এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করেন। রাশিয়ার টেলিভিশনে বৈঠকের আগে পুতিন ও ফিকোর করমর্দন দেখানো হয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই বৈঠকের আয়োজনের কথা জানিয়েছেন। ফিকোর রাশিয়া সফর এবং রাশিয়া-স্লোভাকিয়া সম্পর্কের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়েছে।
রবার্ট ফিকো
মূল তথ্যাবলী:
- রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোর সাক্ষাত
- ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের চুক্তি নবায়ন নিয়ে উদ্বেগ
- ফিকোর রাশিয়া সফর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আলোচনা
- ফিকোর ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা
গণমাধ্যমে - রবার্ট ফিকো
রবার্ট ফিকো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন এবং ইউক্রেনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহের চুক্তি নবায়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।