যমজ: একই গর্ভধারণে জন্ম নেওয়া দুই বা ততোধিক সন্তানকে যমজ বলা হয়। যমজ দুই প্রকার: মনোজাইগোটিক (অভিন্ন) ও ডাইজাইগোটিক (ভ্রাতৃসম)। মনোজাইগোটিক যমজ একই জাইগোট থেকে উৎপন্ন হয়, যা পরে বিভক্ত হয়ে দুটি ভ্রুণ তৈরি করে। ডাইজাইগোটিক যমজ আলাদা আলাদা ডিম্বাণু থেকে উৎপন্ন হয়, প্রত্যেকে আলাদা শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়।
যমজ জন্মের হার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে বৈচিত্র্যপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ, ইয়োরুবা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যমজ জন্মের হার সর্বোচ্চ, যখন দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটি সর্বনিম্ন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, যমজ জন্মের হার ১৯৮০ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ৭৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।
যমজ গর্ভধারণের ঝুঁকি বাড়ানোর কিছু কারণ হলো: মায়েদের বয়স বৃদ্ধি, উর্বরতা চিকিৎসা, পূর্বের যমজ জন্মের ইতিহাস। যমজ গর্ভধারণ একক গর্ভধারণের তুলনায় অকাল প্রসব, কম ওজনের শিশু জন্ম, অন্যান্য জটিলতার ঝুঁকি বেশি।
যমজ শিশুদের জন্মগ্রহণের ধরণ, তাদের জরায়ুতে থাকার অবস্থা, জন্মের পর তাদের যত্ন প্রদানের পদ্ধতি – সব কিছুতেই স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।
যমজ গর্ভধারণ ও জন্মের বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে এই নিবন্ধটি আপডেট করা হবে।