ম্যাডিসন

আপডেট: ১ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৪৭ এএম

ম্যাডিসন নামটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়: একটি হল উইসকনসিনের রাজধানী শহর ম্যাডিসন এবং অপরটি হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি জেমস ম্যাডিসন।

ম্যাডিসন (উইসকনসিন): উইসকনসিনের রাজধানী ও ডেইন কাউন্টির আসন হিসেবে ম্যাডিসন শহরটি পরিচিত। ২০১৯ সালের প্রাক্কলিত জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২,৫৯,৬৮০। মেন্ডোটা হ্রদ, মনোনা হ্রদ, কেগোনসা হ্রদ এবং ওয়াসেবা হ্রদের চতুর্দিকে অবস্থিত এই শহর উইসকনসিনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়, উইসকনসিন রাজ্য ক্যাপিটল ভবন এবং হেনরি ভিলাস চিড়িয়াখানার অবস্থানের কারণে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এপিক সিস্টেমস, আমেরিকান ফ্যামিলি ইনস্যুরেন্স, প্রোমেগা, এবং গুগলের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের অফিস এখানে অবস্থিত। ম্যাডিসন শহরের ইতিহাস 12,000 বছর আগেকার, ইউরোপীয়দের আগমনের পূর্ব থেকেই মানববসতি ছিল। ইউরোপীয়দের আগমন 1829 সালে হয়, এবং জেমস ডুয়ান ডোটি নামে একজন বিচারক এর নামকরণ করেন জেমস ম্যাডিসনের সম্মানে।

জেমস ম্যাডিসন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি (১৮০৯-১৮১৭) ছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান ও বিল অফ রাইটস প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, এবং তাকে

সংবিধানের জনক

বলা হয়। তিনি ভার্জিনিয়ার পোর্ট কনওয়েতে ১৭৫১ সালের ১৬ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন এবং মন্টপেলিয়ার প্লান্টেশনে বেড়ে ওঠেন। তিনি একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকারের সমর্থক ছিলেন এবং ১৭৯২ সালে থমাস জেফারসনের সাথে ডেমোক্রেটিক-রিপাবলিকান পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। তার রাষ্ট্রপতিত্বকালে ১৮১২ সালের যুদ্ধ (গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে) অনুষ্ঠিত হয়। তার মৃত্যু হয় ১৮৩৬ সালের ২৮ জুন মন্টপেলিয়ারে।

মূল তথ্যাবলী:

  • উইসকনসিনের ম্যাডিসন হল রাজ্যের রাজধানী ও একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।
  • জেমস ম্যাডিসন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি।
  • ম্যাডিসন শহরের জনসংখ্যা প্রায় ২,৫৯,৬৮০।
  • উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় শহরের শিক্ষা ও অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু।
  • ১৮১২ সালের যুদ্ধের সাথে জেমস ম্যাডিসনের রাষ্ট্রপতিত্বকাল জড়িত।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।