মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ এএম
নামান্তরে:
Mohammad Rafiquzzaman
মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান
মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান: বাংলা গানের এক অমিত্র অবদান

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান (জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৩) বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি গীতিকবি ও লেখক। বাংলা গানের জগতে তাঁর অবদান অপরিসীম। শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য এবং সংলাপ রচনা করে তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন। ২০২৪ সালে সংস্কৃতিতে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৮৪ এবং ১৯৮৬ সালে শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে এবং ২০০৮ সালে শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

ঝিনাইদহ জেলার লক্ষ্মীপুরের ফুরসুন্দিতে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করলেও, তার পৈতৃক বাড়ি যশোর জেলার সদর উপজেলার খড়কীতে। যশোর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৬৮ সালে বাংলাদেশ বেতারে যোগদানের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত বেতারে কর্মরত থাকার পর, লন্ডনের চ্যানেল এস এবং বৈশাখী টেলিভিশনেও উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৫ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত গীতিকার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং দুই হাজারেরও বেশি গান রচনা করেন। ১৯৭৩ সাল থেকে নিয়মিত চলচ্চিত্রের জন্য গান রচনা করেন। ১৯৬১ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত মঞ্চ, বেতার ও টেলিভিশনের জন্য শতাধিক নাটক রচনা ও অভিনয় করেন।

তার স্ত্রীর নাম পান্না জামান এবং তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। তার অসাধারণ গান রচনা এবং চলচ্চিত্রে অবদান বাংলাদেশের সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতে এক অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর লেখা অনেক গান দেশের জনমানসে অমর হয়ে আছে।

মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান: বাংলা গানের এক অমূল্য সম্পদ

মূল তথ্যাবলী:

  • মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত গীতিকবি ও লেখক।
  • তিনি ২০২৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
  • তিনি ১৯৮৪, ১৯৮৬ এবং ২০০৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
  • তিনি শতাধিক চলচ্চিত্রের জন্য গান, কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন।
  • তিনি দুই হাজারের অধিক গান রচনা করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।