কুমিল্লার পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব
কুমিল্লা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব কুমিল্লার পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, তিনি কুমিল্লার বিভিন্ন পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তার কাজের মধ্যে রয়েছে ইটভাটা মালিকদের কৃষি জমি ও গোমতী নদীর চর থেকে মাটি উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা, কুমিল্লা শহরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ এবং শব্দ দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা।
ইটভাটা ও কৃষি জমি: মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব জানান, ইটভাটা মালিকরা পরিবেশ অধিদপ্তরে অঙ্গীকারনামা দাখিল করলেও অঙ্গীকার ভঙ্গ করে কৃষি জমির উপরের মাটি (টপ সয়েল) ও গোমতী চরের উর্বর মাটি ব্যবহার করছে। এতে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে এবং খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কর্তৃক অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে পরিবেশ দূষণের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের সাথে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।
শব্দ দূষণ: আন্তর্জাতিক শব্দ দূষণ দিবস উপলক্ষে তিনি কুমিল্লা শহরের ৯টি এলাকায় শব্দ দূষণের উচ্চ মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি আহ্বান জানান।
কুমিল্লা ইপিজেডের বর্জ্য: কুমিল্লা ইপিজেড থেকে নির্গত তরল বর্জ্য দিয়ে কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চলের নদী-নালা দূষিত হওয়ার বিষয়ে মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীব জানান যে, ইপিজেড কর্তৃপক্ষ দাবি করে তাদের বর্জ্য পরিশোধন হয়, কিন্তু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যাচ্ছে তাদের দাবী সত্য নয়।
লালমাই পাহাড়: তিনি লালমাই পাহাড় কাটা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এই অবৈধ পাহাড় কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীবের কাজের সারমর্ম হলো কুমিল্লার পরিবেশ রক্ষা এবং স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তিনি বিভিন্ন সংস্থা এবং ব্যক্তির সাথে মিলে কাজ করে যাচ্ছেন কুমিল্লার পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে। তবে, এই প্রতিবেদনে মোসাব্বের হোসেন মোহাম্মদ রাজীবের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। আমরা এই তথ্য পেলে আপনাদের সাথে আপডেট করব।