মোল্লাহাট থানা, বর্তমানে উপজেলা, বাগেরহাট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। ১৮৬৭ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও, ২ জুলাই ১৯৮৩ সালে এটি উপজেলায় উন্নীত হয়। মোল্লাহাটের নামকরণের সঠিক ইতিহাস অস্পষ্ট, তবে জনশ্রুতি অনুসারে এটি মোল্লা বংশের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হাজী মুহাম্মদ তমিজ উদ্দিন মোল্লার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আরেকটি জনশ্রুতি অনুসারে ১৮২০ সালে তৎকালীন কালেক্টর সি.এস.ভি. রোজারী ঐ এলাকায় একটি পুলিশ ফাড়ি স্থাপনের পর এলাকাটি মোল্লাহাট নামে পরিচিতি পায়। প্রথমে আঠারোবাঁকী নদীর তীরে অবস্থিত থানাটি পরবর্তীতে মধুমতি নদীর তীরে স্থানান্তরিত হয়। মোল্লাহাট ১৮৭.৮৮ বর্গ কিমি আয়তনের এবং নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর উত্তরে নড়াইলের কালিয়া, দক্ষিণে ফকিরহাট ও চিতলমারী, পূর্বে চিতলমারী, টুঙ্গিপাড়া ও গোপালগঞ্জ সদর, এবং পশ্চিমে খুলনার তেরখাদা ও রূপসা উপজেলা অবস্থিত। মোল্লাহাটের জনসংখ্যা প্রায় ১,৩০,৮৭৮ (২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে)। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষ এখানে বাস করে। কৃষিকাজ এখানকার অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি, তবে ব্যবসা, পরিবহন, এবং অন্যান্য পেশাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মোল্লাহাটের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনগুলির মধ্যে কুলিয়া জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে চাকুলিয়ায় মুক্তিবাহিনী এবং পাকবাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই হয়েছিল। মোল্লাহাটের উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মোল্লাহাট থানার সম্পূর্ণ ইতিহাস ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
মোল্লাহাট থানা
আপডেট: ২ জানুয়ারী ২০২৫, ১:৫১ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৮৬৭ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
- ১৯৮৩ সালে উপজেলায় উন্নীত
- বাগেরহাট জেলার অধীনে
- ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত
- মোল্লা বংশের নামানুসারে নামকরণের ধারণা
- মধুমতি নদীর তীরে অবস্থিত
- কৃষিকাজ প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - মোল্লাহাট থানা
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
এই থানার পুলিশ হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।