মোজাম্বিকের জাতীয় ঝুঁকি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (আইএনজিডি): ঘূর্ণিঝড় চিডোর পরবর্তী প্রভাব ও কর্মকাণ্ড
২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে মোজাম্বিকে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় চিডোর কারণে দেশটিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মোজাম্বিকের জাতীয় ঝুঁকি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (Instituto Nacional de Gestão de Riscos e Desastres-INGD) ঘটনার পর ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন এবং উদ্ধারকাজের তদারকি করেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত ৯৪ জন নিহত এবং ৭৬৮ জন আহত হয়েছেন। ৬ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় চিডোর প্রভাব:
- ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যা: ৬ লাখ ২২ হাজারের বেশি।
- নিহত: ৯৪ জন।
- আহত: ৭৬৮ জন।
- ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত এবং অসংখ্য স্কুল ভবন ধ্বংস।
- ক্ষতিগ্রস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র: ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত।
আইএনজিডির কর্মকাণ্ড:
আইএনজিডি ঘূর্ণিঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ, পুনঃনির্মাণ কার্যক্রমের তদারকি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে। সরকারের সঙ্গে কাজ করে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ক্যাবো ডেলগাডো, নিয়াসা ও নামপুলা সহ ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে পুনর্গঠনের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় চিডো মোজাম্বিকে ১৫ ডিসেম্বর আঘাত হানে, ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায় এবং ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এটি ভারত মহাসাগরের ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োত, মোজাম্বিক, মালাওয়ি এবং জিম্বাবুয়ের উপর দিয়ে বয়ে যায়। আইএনজিডি ঘূর্ণিঝড়ের পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং দীর্ঘমেয়াদী দুর্যোগ প্রশমন ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।