মোংলা সমুদ্রবন্দর: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর। খুলনা বিভাগের খুলনা-বাগেরহাট জেলার সীমান্তে পশুর নদীর তীরে অবস্থিত এই বন্দরটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও ব্যস্ততম সমুদ্রবন্দর। ১৯৫০ সালের ১ ডিসেম্বর চালনা নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও, পরবর্তীতে ভৌগোলিক সুবিধার জন্য মোংলায় স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে এটি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এবং ২২৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা জাহাজ বন্দরে প্রবেশ করতে পারে। ১১টি জেটি, ৭টি শেড এবং ৮টি ওয়্যারহাউজসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন এই বন্দরটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চট্টগ্রাম বন্দরের উপর চাপ কমাতে এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য এটি একটি বিকল্প রুট হিসেবে কাজ করে। ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মোংলা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। মোংলা বন্দরের নিকটেই অবস্থিত খান জাহান আলী বিমানবন্দর এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্দরের কার্যক্রমকে আরও সমৃদ্ধ করে। মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (মংলা ইপিজেড) এর অবস্থানও বন্দরের গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৯৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজ এ বন্দরে নোঙর করে, যা একটি নতুন রেকর্ড। মোংলা বন্দরের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে।
মোংলা সমুদ্রবন্দর
মূল তথ্যাবলী:
- মোংলা সমুদ্রবন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর
- ১৯৫০ সালে চালনা নামে প্রতিষ্ঠিত
- পশুর নদীর তীরে অবস্থিত
- আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
- খান জাহান আলী বিমানবন্দরের নিকটবর্তী