মো: সম্পদ: দুর্নীতির অভিযোগ ও আইনি জটিলতা
বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় 'মো: সম্পদ' শব্দটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, কমপক্ষে তিনটি স্পষ্ট ঘটনা 'মো: সম্পদ' শব্দটির সাথে সম্পর্কিত।
প্রথম ঘটনা: পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে ১১ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৩৯ কোটি টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের অভিযোগে দুদক দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। মো. মহিববুর রহমানের বিরুদ্ধে ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব আমলে নেওয়া হয়েছে, যেখানে ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সম্পদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯২ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
দ্বিতীয় ঘটনা: সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। তার বিরুদ্ধে ঘুষ, পদোন্নতি-বদলির দুর্নীতি, প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়, এবং ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তার স্ত্রীর আয়কর ফাইলে ৬০ কোটি টাকা ট্রান্সফারের বিষয়টিও তদন্তের আওতায় আছে।
তৃতীয় ঘটনা: সাবেক এমপি ও ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে 'অবৈধভাবে' ১১ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক মামলা করেছে। মামলার এজাহারে অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের কাছ থেকে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা নেন এবং বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৪৭ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
উল্লেখ্য, 'মো: সম্পদ' শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়েছে। এই লেখাটি তথ্য সংগ্রহের উপর ভিত্তি করে লিখিত, কোনও ব্যক্তিগত মতামত বা রায় দেয়ার উদ্দেশ্যে নয়।