বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা: নানা অভিযোগের আসামী
মো. তুহিন মৃধা বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে পরিচিত। তবে, বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে উঠে আসা নানা অভিযোগের কারণে তিনি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার উল্লেখ করা হল:
ধান কাটা ও হুমকির অভিযোগ:
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে, এক শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার অভিযোগ করেন যে, তুহিন মৃধা ও তার সহযোগীরা রাতের আঁধারে তাঁর জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে এবং তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। মনিরুজ্জামান বাবুল দাবি করেন, তুহিন মৃধা তার ভাগ্নে এবং এই ঘটনার সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত। তুহিন মৃধা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন এটি পারিবারিক বিরোধের অংশ।
চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ:
২০২৪ সালের আগস্টে, তুহিন মৃধা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে। চলাভাঙ্গা গ্রামের এক ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির মিল্টন অভিযোগ করেন, তুহিন মৃধা ও তার সহযোগীরা তার দোকানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে, এবং চাঁদা না দেওয়ায় তার দোকান ভেঙে ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। তুহিন মৃধা এই অভিযোগকেও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষ:
আগস্ট মাসে আমতলী উপজেলার খুরিয়ার খেয়াঘাট এলাকায় তুহিন মৃধা ও বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকিরের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হন। উভয় পক্ষ একে অপরকে চাঁদাবাজির অভিযোগ করে।
অন্যান্য অভিযোগ:
তুহিন মৃধার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে বাসস্ট্যান্ড দখল, অগ্নি সংযোগ, জমি দখল এবং বিএনপির দলীয় পদ ব্যবহার করে চাঁদা আদায় অন্তর্ভুক্ত।
তুহিন মৃধার প্রতিক্রিয়া:
তুহিন মৃধা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল।
পুলিশের ভূমিকা:
পুলিশ প্রশাসন এসব অভিযোগের তদন্ত করছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উপসংহার:
মো. তুহিন মৃধা আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হিসেবে নানা বিতর্কে জড়িত। তার বিরুদ্ধে উঠে আসা অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্পষ্ট হবে।
মো. তুহিন মৃধা বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব।
তার বিরুদ্ধে ধান কাটা, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির অন্য একটি দলের সাথে সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন।
তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ প্রশাসন এসব অভিযোগের তদন্ত করছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. তুহিন মৃধা: নানা অভিযোগের আসামী; ধান কাটা, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগ; আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষ; পুলিশের তদন্ত চলছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপি
মো. মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার, ডালিম হাওলাদার, জুয়েল মাতুব্বর, মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ, হুমায়ুন কবির মিল্টন, মো. জালাল উদ্দিন ফকির
আমতলী (বরগুনা), চাওড়া ইউনিয়ন, পাতাকাটা গ্রাম, খুরিয়ার খেয়াঘাট
মো. তুহিন মৃধা, আমতলী, বরগুনা, বিএনপি, ধান কাটা, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, সংঘর্ষ, অভিযোগ