মেহেদি হাসান তানিম

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৬ এএম

মেহেদী হাসান তানিম: একজন সাংবাদিকের অকাল মৃত্যু

গত ১৮ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক হাসান মেহেদী। তিনি ঢাকা টাইমসের সংবাদকর্মী ছিলেন এবং এর আগে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টি ফোরেও কর্মরত ছিলেন। মেহেদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম দিকে প্রাণ হারানো সাংবাদিকদের মধ্যে একজন ছিলেন।

মেহেদী স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। আগস্ট মাসে তাঁরা নতুন বাসায় উঠার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু দুর্ঘটনার কিছুদিন আগেই এই পরিকল্পনা বিফলে যায়। তার মৃত্যুর পরে পরিবার তাঁর পৈতৃক বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলে চলে আসে।

মেহেদীর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম জানান, তিনি একজন অসাধারণ স্বামী ও পিতা ছিলেন। সীমিত আয়ের মধ্যেও তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করে পরিবারের সকলের যত্ন নিতেন। মেহেদীর ছোট মেয়ে মায়মুনা এখনো বুঝতে পারেন না তার বাবা চিরতরে চলে গেছেন।

মেহেদীকে উদ্ধার করেছিলেন মো. ইয়াছিন আহমেদ নামের একজন ছাত্র। তিনি দেখেছিলেন, মেহেদী গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে নিজের ফোনটি অনলক করেছিলেন। এই ফোন দিয়েই তার পরিবারকে খবর জানানো হয়।

মেহেদীর মৃত্যুতে পরিবার গভীর শোকে বিমর্ষ। তার বাবা মো. মোশাররফ হোসেন তার ছেলের স্মৃতি চারণ করে অসহায়ত্ব ব্যক্ত করেন। মেহেদীর মৃত্যু একটি গভীর ক্ষতি নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকতার জন্য। আমরা তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করি। আরো বিস্তারিত তথ্য পেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত হন সাংবাদিক হাসান মেহেদী।
  • ঢাকা টাইমস ও নিউজ টোয়েন্টি ফোর-এ কর্মরত ছিলেন।
  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম দিকে প্রাণ হারান।
  • স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে কেরানীগঞ্জে থাকতেন।
  • পটুয়াখালীর বাউফলে দাফন করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - মেহেদি হাসান তানিম

মেহেদি হাসান তানিম জাতীয় নাগরিক কমিটির সভায় বক্তৃতা দিয়েছেন।