মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
নামান্তরে:
মেজর জেনারেল অব জিয়াউল আহসান
মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান

মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান: একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। তিনি জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)-এর সাবেক মহাপরিচালক এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন ও সমালোচনা উঠেছে।

১৯৯১ সালের ২১শে জুন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনড অফিসার হিসেবে যোগদানের পর, জিয়াউল আহসান ২০০৯ সালে র‍্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক এবং অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সময়কালে নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডার মামলাসহ বেশ কিছু বিতর্কিত ঘটনার সাথে তার নাম জড়িত ছিল।

২০২২ সালে জিয়াউল আহসান এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এই পদে থাকাকালীন তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির কল রেকর্ড ফাঁস করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।

৬ আগস্ট ২০২৪ সালে জিয়াউল আহসানকে চাকরিচ্যুত করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুম, খুন, এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে আদালত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তার বিরুদ্ধে বিচার চলছে।

তার কর্মজীবন এবং বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা প্রয়োজন। তবে উপরোক্ত তথ্যগুলি জিয়াউল আহসানের জীবন ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে সাহায্য করবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • জিয়াউল আহসান সাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা
  • এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক
  • র‌্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক
  • নারায়ণগঞ্জ সেভেন মার্ডার মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ
  • ছাত্র আন্দোলনে ইন্টারনেট বন্ধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ
  • ৬ আগস্ট ২০২৪ সালে চাকরিচ্যুত
  • গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।