মুহিউদ্দিন

আপডেট: ৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৬:৪২ এএম

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান: বাংলাদেশের এক অসাধারণ ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক ও সাংবাদিক

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান (১৯৩৫-২০১৬) বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, লেখক, সাংবাদিক ও সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষায় ইসলামি সাহিত্যের অতুলনীয় অবদান রেখেছেন। তার জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৩৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার ছয়চির গ্রামে। পিতা হাকিম আনছার উদ্দীন খান ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও মৌলভী। মাতা ছিলেন মোছাঃ রাবেয়া খাতুন।

তিনি ১৯৫১ সালে আলিম এবং ১৯৫৩ সালে ফাজিল ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হন। ১৯৫৫ সালে হাদিসে এবং ১৯৫৬ সালে ফিকহে কামিল ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯৬০ সালে 'সাপ্তাহিক নয়া জামানা' ও ১৯৬৩ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত 'মাসিক দিশারী' সম্পাদনা করেন। ১৯৬১ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি 'মাসিক মদীনা' এবং 'আজ' (Today) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান ‘মা’রেফুল কোরআন’ এর প্রথম বাংলা অনুবাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রায় ১০৫টি গ্রন্থ অনুবাদ ও রচনা করেছেন, যার মধ্যে কুরআন, হাদিস, সীরাত, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অভিধান বিষয়ক বিভিন্ন গ্রন্থ অন্তর্ভুক্ত। তিনি ইমাম গাজালীর ‘ইহিয়াউ উলুমিদ্দিন’ এবং মাওলানা আবুল কালাম আযাদের ‘ইনসানিয়ত মওত কে দরওয়াযে পর’ গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত মদীনা পাবলিকেশন্স ১৯৫৭ সাল থেকে ৬০০-এর বেশি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে।

তিনি ১৯৮৮ সালে সৌদি আরবে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রাবেতায়ে আলমে ইসলামী’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি মুতামার আল আলম আল ইসলামী বাংলাদেশ শাখার সভাপতি, জাতীয় সীরাত কমিটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামী মোর্চার সভাপতি এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি ১৯৭৬ সালে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৬ সালে নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মাওলানা মুহিউদ্দিন খান ২০১৬ সালের ২৫ জুন মারা যান। তার অবদান বাংলাদেশের ইসলামি চিন্তা ও সাহিত্যের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

খালেদ মুহিউদ্দীন: বাংলাদেশী সাংবাদিক, লেখক ও টকশো উপস্থাপক

খালেদ মুহিউদ্দীন (জন্ম ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪) একজন বাংলাদেশী সাংবাদিক, লেখক ও টকশো উপস্থাপক। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির জনপ্রিয় টকশো ‘আজকের বাংলাদেশ’ এর উপস্থাপক হিসেবে পরিচিত। তিনি ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগের প্রধান হিসাবেও কাজ করেছেন এবং বর্তমানে ঠিকানা নিউজ-এর সাথে যুক্ত।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং একই বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। ২০০৩-০৪ সালে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

তার কর্মজীবন সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু হলেও তিনি কিছুকাল বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দৈনিক প্রথম আলো, বিডিনিউজ২৪.কম এবং মিডিয়া ওয়াচ-এ কাজ করেছেন। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভিতে ৭ বছর নির্বাহী সম্পাদক থাকার পর তিনি ২০০৮-২০০৯ সালে বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন।

খালেদ মুহিউদ্দীনের ৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। অধ্যাপক এ এস এম আসাদুজ্জামানের সাথে যৌথভাবে লেখা 'যোগাযোগের ধারণা' ও 'যোগাযোগের তত্ত্ব' ঢাকা এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যবই হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাওলানা মুহিউদ্দিন খান বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ছিলেন।
  • তিনি 'মা'রেফুল কোরআন' এর প্রথম বাংলা অনুবাদক ছিলেন।
  • তিনি প্রায় ১০৫টি ইসলামি গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন।
  • তিনি 'মাসিক মদীনা' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
  • খালেদ মুহিউদ্দিন একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী সাংবাদিক ও লেখক।
  • তিনি ডয়চে ভেলে এবং ঠিকানা নিউজ-এর সাথে কাজ করেছেন।
  • তার ৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।