মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। উপলব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা দুজন মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করতে পারছি। অন্যদের সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য না থাকায়, তাদের বিষয়ে আমরা এখনই বিস্তারিত তথ্য দিতে পারছি না। আশা করি, পরবর্তীতে যখন আরও তথ্য পাওয়া যাবে, তখন আপনাদের জানানো হবে।
মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমি (১৯৩৬-২০০২): একজন ভারতীয় মুসলিম পণ্ডিত, মুফতি, সুন্নি হানাফি আলেম। তিনি ইসলামিক ফিকহ একাডেমি, ভারতের প্রতিষ্ঠাতা এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের দরভাঙ্গায় তার জন্ম। মাদ্রাসা মাহমুদুল উলুম, দামলা ও স্থানীয় মাদ্রাসা মৌ, উত্তরপ্রদেশ থেকে শিক্ষাজীবন শুরু করে পরে দারুল উলুম দেওবন্দে যোগ দেন এবং ১৯৫৫ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। দেওবন্দে হুসাইন আহমদ মাদানি, সৈয়দ ফখরুদ্দিন আহমদ এবং আবদুল হাফিজ বালিয়াভির অধীনে পড়াশোনা করেন। মুঙ্গারের জামিয়া রহমানিয়ায় শিক্ষকতা করেন এবং ১৯৮৯ সালে ইসলামিক ফিকহ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফিকহ একাডেমি, জেদ্দা, মক্কার ফিকহ একাডেমি এবং আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের আদালতের সদস্যও ছিলেন। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে আবুল হাসান আলী নদভীর মৃত্যুর পরে সভাপতি হন। মুসলিম সংগঠনগুলিকে একক মঞ্চে আনার জন্য অল ইন্ডিয়া মিলি কাউন্সিল চালু করেন। ৪০টিরও বেশি বই রচনা করেন এবং ২০০২ সালের ৪ এপ্রিল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম (২৬ নভেম্বর ১৯৮৫ - ২৮ অক্টোবর ২০০৬): একজন বাংলাদেশি যুবক যিনি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হন। তাঁর জন্ম নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানার দরগাবাজারে। তিনি শান্ত প্রকৃতির ছিলেন, বই পড়া পছন্দ করতেন এবং সামাজিক কাজে অগ্রসর ছিলেন।
মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম (১৯৫০-২০২৫): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান। কিডনির জটিলতায় ভুগে ২০২৫ সালে মারা যান।