মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। প্রথম ব্যক্তি হলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, খতিব, ইমাম এবং বক্তা, যিনি ২০১৩ সালে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং ২০২৪ সালে জামিনে মুক্তি পান। তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে জড়িত ছিলেন। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার হেউলিবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসা, দারুল উলুম দেওবন্দ এবং হায়দারাবাদের এক মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভ করেন। ব্লগার রাজীব হত্যার সাথেও তার সম্পৃক্ততা ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত ‘পল্লীকবি’ জসীম উদ্দীন। তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারী ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ মারা যান। তিনি একজন কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক ছিলেন। তার বিখ্যাত রচনার মধ্যে ‘নকশী কাঁথার মাঠ’, ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ উল্লেখযোগ্য। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরষ্কার, একুশে পদক এবং স্বাধীনতা পুরষ্কারে ভূষিত হন। এই দুই মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন
আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:০৭ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নামে দুজন ব্যক্তি বিদ্যমান।
- প্রথম জসিম উদ্দিন একজন ইসলামি পণ্ডিত যিনি সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন।
- দ্বিতীয় জসিম উদ্দিন বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত পল্লীকবি।
- পল্লীকবি জসিম উদ্দিনের বিখ্যাত রচনা হলো ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’।
- তিনি ১৯০৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।