মুরাদ আহমদ

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৪:৫৮ এএম

মুরাদ আহমদের জীবনী ও রাজনৈতিক জীবন

মুরাদ আহমদ নামটি একাধিক ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পারে। এই লেখায় আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ মুরাদ হাসানের জীবনী ও কার্যকলাপ সম্পর্কে আলোচনা করবো। তিনি একজন চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ এবং দুটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা:

মুরাদ হাসান ১০ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মতিয়র রহমান তালুকদার এবং মাতার নাম মনোয়ারা বেগম মনু। তার ভাই মাহমুদ হাসান তালুকদার মিন্টু বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি। মুরাদ হাসান জামালপুর শহরস্থ কিশলয় আদর্শ বিদ্যা নিকেতনে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ‘প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারি’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে ২০১১ সালে বিকিরণ ক্যান্সারবিজ্ঞানে এম. ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনৈতিক জীবন:

মুরাদ হাসান ১৯৯৪ সালে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন এবং ১৯৯৮ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ২০০০ সালে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হন। ২০০৩ সালে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং ১৯ মে ২০১৯ থেকে ৭ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিরও কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন। ২০২১ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।

বিভিন্ন বিতর্ক ও পদত্যাগ:

২০২১ সালের অক্টোবরে, ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গে দেওয়া এক বক্তব্য এবং পরবর্তীতে তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য এবং মাহিয়া মাহির সাথে অশ্লীল কথোপকথন ফাঁস হওয়ার ঘটনার কারণে তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন এবং ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার বিরুদ্ধে তার স্ত্রী জাহানারা এহসান নির্যাতন ও হত্যার হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

উল্লেখযোগ্য তথ্য:

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সারবিজ্ঞান বিভাগে কনসালটেন্ট (পরামর্শক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
  • স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আজীবন সদস্য ছিলেন।
  • হিরো আলম তার নিয়ে বেশ কিছু প্যারোডি গান প্রকাশ করেছেন।

যদি আরও তথ্য পাওয়া যায়, তবে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুরাদ হাসান ১০ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি জামালপুর-৪ আসন থেকে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন।
  • স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
  • তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিতর্ক ও অভিযোগের কারণে পদত্যাগ করেন।
  • তিনি একজন চিকিৎসক এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।