মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CSMIA), ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর। পূর্বে সাহার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামে পরিচিত, ১৯৯৯ সালে এর নামকরণ করা হয় মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত রাজা ছত্রপতি শিবাজীর নামানুসারে। ২০২৩ সালে, ৪.৪৬ মিলিয়ন যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছিল।
বিমানবন্দরটি মুম্বাইয়ের ভিলে পার্লে পূর্বে ৭৫০ হেক্টর (১,৮৫০ একর) জমিতে অবস্থিত। এটি মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড (MIAL) দ্বারা পরিচালিত হয়, যেটি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (AAI) এবং একটি বেসরকারি কনসোর্টিয়ামের যৌথ উদ্যোগ। MIAL-এর ৭৪% শেয়ার আদানি গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিমানবন্দরটিতে দুটি টার্মিনাল (টার্মিনাল ১ ও ২) রয়েছে, যার মধ্যে টার্মিনাল ২ আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ উভয় ফ্লাইটের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন প্রায় ৯৫০ টি উড়ানের চলাচল পরিচালনা করে এই বিমানবন্দর।
CSMIA একটি হাব বিমানবন্দর হিসেবে কাজ করে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স-এর যাত্রী ও উড়ান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়। IndiGo, Air India Express, SpiceJet, GoAir প্রমুখ এয়ারলাইন্স এই বিমানবন্দর ব্যবহার করে। বিমানবন্দরটি যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, যেমন বিনামূল্যে ওয়াইফাই, লাগেজ স্টোরেজ, বিভিন্ন লাউঞ্জ, ধূমপান এলাকা, প্রার্থনা কক্ষ, বেবি স্ট্রলার পরিষেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা। শপিং এবং খাবারের জন্য বহু আউটলেটও রয়েছে। DigiYatra-র মতো ডিজিটাল সুবিধাগুলিও যাত্রীদের জন্য সুবিধা প্রদান করে।
বিমানবন্দরটিতে পৌঁছানোর জন্য ট্যাক্সি, ক্যাব, অটোরিক্সা, লোকাল ট্রেন এবং আগামীতে মেট্রো (লাইন ৩ ও ৭এ) ব্যবহার করা যাবে। আসন্ন নাভি মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর মুম্বাই বিমানবন্দরের সংযোগ ব্যবস্থাকে আরও ব্যপক করবে।
ঐতিহাসিকভাবে, আরএএফ সান্তাক্রুজ ১৯৩০-এর দশকে নির্মিত হয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেশ কয়েকটি আরএএফ স্কোয়াড্রন এখানে অবস্থান করেছিল। বিমানবন্দরের বর্তমান অবকাঠামো এবং ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা মুম্বাইয়ের অর্থনৈতিক প্রগতি এবং আন্তর্জাতিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।