যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে মুখ ঢাকা একজন আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন এবং তার পাশে দুইজন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৭ ডিসেম্বর মাদ্রাসায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ নামক বার্ষিক প্রতিযোগিতার অংশ। মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাকফুর রহমান জানান, প্রতিযোগিতায় ছাত্ররা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করেছে, বক্তৃতা, হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করেছে। তিনি আরও জানান, ছাত্রদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো কাঠ ও শোলা দিয়ে তৈরি ছিল। জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী স্পষ্ট করেছেন যে, বিষয়টি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়নি; শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছিল। মাদ্রাসার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বক্তব্যটি সাউন্ডবক্সে চলছিল এবং স্টেজে যারা ছিলেন তারা কেবল অভিনয় করেছেন। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, ভিডিওটি ফেসবুকে দেখেছেন এবং এটি মাদ্রাসার ছাত্রদের একটি প্রতিযোগিতার অংশ বলে মনে করেন।
মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী
মূল তথ্যাবলী:
- যশোর জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়ে বিতর্ক
- মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল
- ছাত্রদের অভিনয় ও ডামি অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ
- মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা: প্রতিভা বিকাশের উদ্দেশ্যে আয়োজন