খুলনার তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও মুফতি জিহাদুল ইসলামের ভূমিকা
২০২৪ সালের ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর খুলনার তাবলীগ জামাতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুফতি জিহাদুল ইসলাম। তিনি তাবলীগ জামাতের আলেমী শুরার সাথে যুক্ত এবং এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খুলনা মহানগরীর নিরালা এলাকার তাবলীগ মসজিদে তাবলীগ জামাতের দুটি ধারা কাজ করছে- একটি আলেমী শুরা ও অন্যটি ভারতের মাওলানা সাদ সাহেবের কিছু অনুসারীদের নেতৃত্বে। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মসজিদ নিয়ন্ত্রণ ও প্রবেশাধিকার নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। মুফতি জিহাদুল ইসলাম আলেমী শুরার পক্ষ নিয়ে এই সংঘাতের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন।
তিনি ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাদ পন্থীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত এবং আলেমী শুরার সদস্যদের উপর হামলা করেছেন। এই ঘটনার পর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাদ পন্থীদের কাকরাইল মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মুফতি জিহাদুল ইসলাম আলেমী শুরার সাথে যুক্ত ওলামা ও তাবলীগ জামাতের সদস্যদের দশ দিনের জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানান এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে আবেদন করেন। তিনি খুলনা মারকাজ মসজিদের জায়গাটি দানকারী বড় হুজুর রহমাউল্লাহর উল্লেখ করে জোর দিয়ে বলেন, সাদ বাহিনী এই মসজিদে ইসলামবিরোধী কোন কাজ করতে পারবেনা।
এই ঘটনার পর খুলনার তাবলীগ মসজিদে সেনা ও বিজিবি টহল দেয় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য মাইকিং করে।
উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে মুফতি জিহাদুল ইসলাম ছাড়াও মুফতি গোলাম রহমান, মুফতি মাহমুদ, মুফতি আজিজুর রহমান, মুফতি আব্দুল্লাহ, মুফতি মিরাজুল ইসলাম, মাওলানা হাসান এবং হাফেজ হারুন উপস্থিত ছিলেন।
এই ঘটনায় খুলনার নিরালা এলাকার তাবলীগ মসজিদ, কাকরাইল মসজিদ প্রধান স্থান হিসেবে উল্লেখযোগ্য। এই ঘটনা তাবলীগ জামাতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রতি ইঙ্গিত করে।