মোহাম্মদ মুইজ্জু: মালদ্বীপের রাজনীতির এক উল্লেখযোগ্য নেতা
মোহাম্মদ মুইজ্জু (ধিবেহী: މުޙައްމަދު މުޢިއްޒު; জন্ম: ১৫ জুন, ১৯৭৮) মালদ্বীপের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি ২০২৩ সালের ১৭ই নভেম্বর মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গৃহায়ন ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় এবং মালের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১২ সালে আধালাথ পার্টির সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। পরে, ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি আব্দুল্লাহ ইয়ামিনের প্রশাসনে মন্ত্রি পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে কাজ করেন এবং আবাসন ও পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন। মালদ্বীপের অবকাঠামো উন্নয়নে, বিশেষ করে আইকনিক সিনামালে ব্রিজ নির্মাণে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ২০১৯ সালে, তিনি মালদ্বীপের প্রগতিশীল দলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাচন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে মালের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হন। ২০২৩ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহকে পরাজিত করে জয়ী হন। তিনি ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি-বিরোধী হিসেবেও পরিচিত। ২০২৪ সালে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) মুইজ্জুকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায়, মালদ্বীপের বিরোধী দলের সাথে র-এর এজেন্টরা গোপন আলোচনা করেছিল এবং প্রেসিডেন্টকে অভিশংসন করার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যদিও পরিকল্পনাটি ব্যর্থ হয়। তবে এই ঘটনা ভারত ও চীনের মধ্যে বৃহৎ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার এক দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। মুইজ্জু সম্প্রতি ভারত সফরে গিয়েছেন এবং আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন।