বাংলাদেশে ‘মিলনায়তন’ শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়। এটি বহু ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সমাবেশস্থলকে নির্দেশ করতে পারে। এই লেখায় আমরা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য মিলনায়তনের বর্ণনা দেবো:
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার কেন্দ্রীয় মিলনায়তন। ২০০০ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত হয়। প্রাথমিকভাবে এর নাম ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (টিএসসিসি)। পরবর্তীতে ২০০১ সালে এবং ২০১২ সালে নাম পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান নামে পরিচিত হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে এর নামকরণ করা হয়। মিলনায়তনে ১২০০ আসন রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক আয়োজন, চলচ্চিত্র উৎসব, নাটক প্রদর্শনী ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার সাথে সংযুক্ত। বর্তমানে অধ্যাপক মিজানুর রহমান মিলনায়তনের পরিচালক।
বাংলা একাডেমির মিলনায়তন: বাংলা একাডেমিতে ৩টি মিলনায়তন, বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণ, নজরুল মঞ্চ, রবীন্দ্র চত্বর, ভাষা-শহিদ মুক্তমঞ্চ এবং ভাস্কর নভেরা প্রদর্শনী কক্ষ রয়েছে। এগুলি বাংলা একাডেমির নিজস্ব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের জন্যও ভাড়া প্রদান করে বরাদ্দ করা হয়। এই মিলনায়তনগুলির নাম, আসন সংখ্যা এবং ভাড়ার বিস্তারিত তথ্য লেখাটিতে উল্লেখিত রয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তন: বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর তিনটি মিলনায়তন ও একটি প্রদর্শনী গ্যালারি পরিচালনা করে। এই মিলনায়তনগুলিতে জাদুঘরের নিজস্ব অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্যও ব্যবহার করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তন: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাতটি মিলনায়তনের নতুন নামকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় নাট্যশালার তিনটি মিলনায়তন, চারুকলা ভবন এবং সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা ভবনের মিলনায়তনগুলো অন্তর্ভুক্ত। ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে নতুন নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন নামগুলির তালিকা প্রতিবেদনে উল্লেখিত আছে।
এই তথ্যগুলি বাদে মিলনায়তন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা লেখাটি আপডেট করব।