২০২১ সালে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিজানুর রহমান জাহিদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। তার পিতা, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। মিজানুর রহমান জাহিদ তখন কলেজে পড়তেন। তিনি তার আত্মীয়ের কাছ থেকে তিন লক্ষ টাকা ধার করে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যুবলীগ নেতা সুজন খান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খানসহ কয়েকজন তাকে জোরপূর্বক আটকে রেখে টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়ার পর তাকে উদ্ধার করা হয়। তবে, পরবর্তীতে অভিযুক্তদের ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে মিজানুর রহমান জাহিদ ও তার পিতার বিরুদ্ধে কথিত মানবপাচারের মামলা করা হয়। এই ঘটনার পর, মিজানুর রহমান জাহিদ ও তার পরিবারের উপর চরম অত্যাচার চালানো হয়। তাদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাও আদায় করা হয়। এই ঘটনার চার বছর পর, মতিউর রহমান সাগর নড়িয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবনী শংকর কর, সাবেক উপ-পরিদর্শক হায়দার আলী, সুজন খান এবং ফারুক খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মিজানুর রহমান জাহিদ
মূল তথ্যাবলী:
- মিজানুর রহমান জাহিদের পিতা বিএনপি নেতা ছিলেন।
- তাকে ২০২১ সালে অপহরণ করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
- পুলিশ উদ্ধার করলেও পরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়।
- চার বছর পর ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
গণমাধ্যমে - মিজানুর রহমান জাহিদ
১ জানুয়ারী ২০২১, ৬:০০ এএম
মিজানুর রহমান জাহিদ, মতিউর রহমান সাগরের ছেলে, মানবপাচারের মামলার শিকার হয়েছিলেন।