মাহমুদুল ইসলাম মিঠু

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:৩০ এএম
নামান্তরে:
বড়দা মিঠু
মাহমুদুল ইসলাম মিঠু

মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, ডাকনামে ‘বড়দা মিঠু’, একজন অভিজ্ঞ বাংলাদেশী অভিনেতা। তিনি মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র- এই তিন মাধ্যমেই অভিনয় করে সুনাম অর্জন করেছেন। ১৯৮১ সালে রাজবাড়ির ‘চারণ থিয়েটার’ থেকে তার অভিনয় জীবনের সূচনা। ‘বাসন’, ‘এখনো কৃতদাস’, ‘তোমরাই’ সহ আরও বেশ কিছু নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি মঞ্চ অভিনয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ১৯৯০ সালে ঢাকায় এসে ‘ঢাকা থিয়েটার’ এর সাথে যুক্ত হন এবং ‘মুনতাসির ফ্যান্টাসী’, ‘ধুর্ত উই’, ‘হাত হদাই’ সহ অনেক নাটকে অভিনয় করেন। ২০০১ সালে রওশন আরা নীপার পরিচালনায় ‘গোধূলি লগনে’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তিনি টেলিভিশন অভিনয়ের সাথে যুক্ত হন। এরপর ‘তমশ’, ‘ধানের কাব্য’ সহ অনেক নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর পরিচালনায় ‘জীবন মানে যুদ্ধ’ ছবিতে তার চলচ্চিত্র অভিনয়ের শুরু। তবে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘আগে যদি জানতাম তুমি হবি পর’, ‘বুঝেনা সে বুঝেনা’ এবং ‘ডার্লিং’ ছবিতে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি ‘আগে যদি জানতাম তুমি হবি পর’ (২০১৪), ‘দারুচিনি দ্বীপ’ (২০০৭) এবং ‘মুসাফির’ (২০১৬) ছবির জন্যও পরিচিত। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘মহুয়া সুন্দরী’, ‘শোভনের স্বাধীনতা’ এবং ‘সুতপার ঠিকানা’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন। মালেক আফসারীর ‘অন্তর জালা’ চলচ্চিত্রে তিনি একজন কসাইয়ের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করবেন। মিঠু মনে করেন, তিনটি মাধ্যমেই কাজ করলেও মঞ্চ অভিনয় তার কাছে সবচেয়ে আনন্দদায়ক। ‘সংসার’, ‘সোনার হরিণ’, ‘থার্ড জেনারেশন’, ‘আক্কেলে মীরাক্কেল’ সহ আরও অনেক ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছেন তিনি। মিঠুর স্ত্রীর নাম জয়া। তার দুই ছেলে সুপ্রীত ও রোহিত এবং এক মেয়ে জয়িতা।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাহমুদুল ইসলাম মিঠু বাংলাদেশী চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা।
  • ১৯৮১ সালে রাজবাড়িতে অভিনয় জীবনের সূচনা।
  • ২০০১ সালে টেলিভিশনে অভিষেক।
  • তিনটি সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রে অভিনয়।
  • ‘আগে যদি জানতাম তুমি হবি পর’, ‘বুঝেনা সে বুঝেনা’ ও ‘ডার্লিং’ ছবিতে প্রশংসিত অভিনয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।