মালির সেনাবাহিনী: অস্থিরতা ও বিতর্কের মধ্যে
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সেনাবাহিনী বর্তমানে দেশটির অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। ২০১২ সাল থেকে মালি গভীর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার সাথে আল-কায়েদা, আইএস ও স্থানীয় অপরাধী চক্র জড়িত। এই অস্থিরতা মালির সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড এবং দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মালির সেনাবাহিনী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। তারা একাধিক জঙ্গিকে গ্রেফতার এবং নিহত করার দাবি করেছে, যেমন মোহাম্মদ ওউলদ এরকেহিল ওরফে আবু রাকিয়া ওরফে আবু হাশ, যাকে আইএসের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি বলে দাবি করা হয়েছে। এই অভিযানগুলি মূলত মালির উত্তরাঞ্চল, বিশেষ করে মেনাকা ও গাও অঞ্চলে পরিচালিত হয়েছে।
তবে, মালির সেনাবাহিনী নিজেই বিতর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে মালির সেনাবাহিনী ও বিদেশি ভাড়াটে যোদ্ধারা ৫০০ এর বেশি বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। এই ধরনের অভিযোগ মালির সেনাবাহিনীর খ্যাতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
২০২০ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর মালিতে সামরিক শাসন কায়েম হয়েছে। এই সামরিক সরকার সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। মালির সেনাবাহিনীর রাশিয়ার সাথে এই সামরিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী ভবিষ্যতের উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলে দিবে।
মালির সেনাবাহিনীর কার্যক্রম, তাদের ভূমিকা, এবং দেশের ভবিষ্যত নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত আরো বিস্তারিত তথ্য প্রাপ্ত হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।