মানহানি একটি গুরুতর আইনি বিষয় যা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও মর্যাদার ক্ষতি সাধন করে। বাংলাদেশে মানহানি দেওয়ানী ও ফৌজদারি উভয় ধরণের অপরাধ। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৯৯-৫০২ ধারা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৯ ধারায় মানহানির বিধান রয়েছে। মানহানির মামলা সাধারণত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি করেন। মামলা ফৌজদারি হলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এবং দেওয়ানী হলে সিভিল কোর্টে দায়ের করতে হয়। ফৌজদারি মামলায় সর্বোচ্চ দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয়ই হতে পারে। দেওয়ানী মামলায় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ক্ষতির মাত্রা ও বাদীর সামাজিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে। অনলাইন মানহানির ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রযোজ্য, যাতে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে। মানহানির মামলা দায়েরের সময়সীমা সাধারণত ঘটনার ৬ মাসের মধ্যে, তবে প্রমাণের উপর ভিত্তি করে আদালত সময়সীমা পরিবর্তন করতে পারে। মানহানির অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য বাদীকে যথেষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। কিছু ব্যতিক্রম আছে যেখানে সত্য কথা বললেও মানহানি হয় না, যেমন জনস্বার্থে প্রকাশিত সত্য তথ্য। মানহানির মামলা দীর্ঘদিন ধরে টানাটানি করে চলতে পারে এবং উচ্চ আদালত পর্যন্ত যেতে পারে।
মানহানি মামলা
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৩৩ পিএম
মূল তথ্যাবলী:
- মানহানি হলো সম্মান ও মর্যাদার ক্ষতি
- দণ্ডবিধি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির বিধান আছে
- ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি মামলা করতে পারেন
- ফৌজদারি ও দেওয়ানী, উভয় ধরণের মামলা হতে পারে
- শাস্তি: কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, বা উভয়ই
- অনলাইন মানহানির জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রযোজ্য
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - মানহানি মামলা
মানহানির মামলায় খালাস পাওয়া।