মানকাচর: একটি বহুমুখী পরিচয়
'মানকাচর' শব্দটি একক অর্থে নয়, বরং বেশ কয়েকটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়। এই নিবন্ধে আমরা আসাম রাজ্যের সাথে সম্পর্কিত মানকাচর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব।
- *মানকাচর বিধানসভা কেন্দ্র:**
উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম রাজ্যের মানকাচর বিধানসভা কেন্দ্রটি ১৯৫২ সাল থেকে কার্যকর। এটি একটি অ-সংরক্ষিত আসন এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এখানে সর্বাধিক (ছয় বার) নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। ২০২১ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে মোট ২,২৬,৬৪৯ জন ভোটার ছিলেন, যার মধ্যে ১,১৪,৪৫২ জন পুরুষ এবং ১,১২,১৯২ জন নারী। ভোটার লিঙ্গানুপাত ৯৮০। ১৯৩৭ এবং ১৯৪৬ সালে, যখন এই আসনটি ধুবড়ী দক্ষিণ নামে পরিচিত ছিল, নিখিল ভারত মুসলিম লীগের মৌলানা ভাসানী এবং মোহাম্মদ আবদুল কাশেম যথাক্রমে জয়ী হন।
- *দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলা:**
২০১৬ সালে আসামের ৩৫তম জেলা হিসাবে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলার গঠন করা হয়। এর আগে এটি ধুবড়ী জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৫ আগস্ট ২০১৫ সালে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ৫টি নতুন জেলার ঘোষণা করেন, যার মধ্যে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর অন্যতম। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে হাটশিঙিমারিতে জেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। জেলার আয়তন ৫৬৮ বর্গকিলোমিটার। এর পশ্চিম ও দক্ষিণে বাংলাদেশ, উত্তরে গোয়ালপাড়া ও ধুবড়ী জেলা এবং পূর্বে মেঘালয় অবস্থিত।
- *মানকাচর মহাবিদ্যালয়:**
আসামের মানকাচর শহর থেকে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই মহাবিদ্যালয়টি ১৬ জুলাই ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রয়াত জেহিরুল ইসলামের সহযোগিতায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে, এটি ২০১৬ সালে জাতীয় মূল্যাঙ্কন এবং প্রত্যাপন পরিষদ (NAAC) থেকে 'B+' শ্রেণী পায়।
- *অন্যান্য:**
মানকাচর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, যেখানে অভিবাসন কেন্দ্র এবং বাণিজ্যিক কার্যকলাপ চলে। এই এলাকায় বিভিন্ন সময়ে গরু পাচারের ঘটনাও ঘটেছে।