খুলনার তেরখাদা এলাকার মাধুরী বিশ্বাস (৩৬) এবং তার সাত বছরের মেয়ে শ্রেষ্ঠার হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সারাদেশে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জেগে উঠেছে। পটুয়াখালীর বিধান দাস (২৫) নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মাধুরী। চার-পাঁচ মাসের প্রেমের পর বিয়ের প্রস্তাবের জন্য চাপ দিলে বিধান তা প্রত্যাখ্যান করে। পরে মাধুরী তার মেয়েকে নিয়ে খুলনা থেকে পটুয়াখালীতে বিধানের কাছে চলে যান। ৪ ডিসেম্বর বিধান দশমিনা বাজারের নলখোলা বন্দর থেকে ঘাস মারার কীটনাশক কিনে লঞ্চ ভাড়া করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। লঞ্চে পানিতে কীটনাশক মিশিয়ে মাধুরী ও শ্রেষ্ঠাকে খাওয়ানোর ফলে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ৫ ডিসেম্বর সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তাদের অচেতন অবস্থায় পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে মাধুরী মারা যান। ১২ দিন পর গত মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার থ্রি অ্যাঙ্গেল ডক এলাকা থেকে বিধানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিধান দাস পটুয়াখালীর দশমিনার বাল্কহেডের ইঞ্জিন শ্রমিক ছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও আक्रোশ বিরাজ করছে।
মাধুরী বিশ্বাসের মেয়ে
মূল তথ্যাবলী:
- মাধুরী বিশ্বাস ও তার মেয়ে শ্রেষ্ঠার হত্যা
- পটুয়াখালীর বিধান দাসের সাথে প্রেমের সম্পর্ক
- কীটনাশক মিশ্রিত পানি পান করিয়ে হত্যা
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু
- ডিএমপির তদন্ত ও বিধান দাসের গ্রেফতার