মাধবপুর, হবিগঞ্জ

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:৫১ পিএম
নামান্তরে:
মাধবপুর হবিগঞ্জ
মাধবপুর, হবিগঞ্জ

মাধবপুর উপজেলা, হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা, সোনাই নদীর তীরে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, এখানে ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই বৈঠকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো স্থাপিত হয় এবং দেশকে ১১টি সেক্টর ও ৩টি ব্রিগেডে বিভক্ত করা হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান: হবিগঞ্জ জেলা সদর থেকে ৪৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই উপজেলার আয়তন ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। উত্তরে হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলা, দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে চুনারুঘাট উপজেলা ও ভারতের ত্রিপুরা, এবং পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর ও নাসিরনগর উপজেলা। ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.১০২৮° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.২৯১৭° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সোনাই ও বোয়ালিয়া এ উপজেলার দুটি প্রধান নদী।

ইতিহাস: ১৮০৪ সালে মাধবপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালের ১ আগস্ট উপজেলায় উন্নীত হয়। নামকরণ সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। জনশ্রুতি অনুযায়ী, মহাদেব নামে এক সাধকের নামানুসারে প্রথমে মহাদেবপুর, পরে মাধবপুর নামকরণ হয়।

মুক্তিযুদ্ধ: তেলিয়াপাড়ায় অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠক ছাড়াও মাধবপুরে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছিল, যেমন তেলিয়াপাড়া যুদ্ধ, মনতলা যুদ্ধ, মাধবপুর অ্যামবুশ ইত্যাদি। জেনারেল এম.এ.জি. ওসমানী, লেঃ কর্নেল আব্দুর রব, লেঃ কর্নেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরীসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

প্রশাসন: মাধবপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা এবং ১১টি ইউনিয়ন রয়েছে। ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬৮৩১৫ জন। ইসলাম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস রয়েছে এখানে। এছাড়াও চা-জনগোষ্ঠী ও বাউল সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব আছে। শিক্ষার গড় হার ৪০%।

উল্লেখযোগ্য স্থান: তেলিয়াপাড়া চা বাগান, মনতলা, হরষপুর, নওয়াপাড়া, জগদীশপুর। মাধবপুর প্রেসক্লাব (প্রতিষ্ঠা ১৯৭৭) এবং মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাব (প্রতিষ্ঠা ২০২২) উল্লেখযোগ্য। আরও তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • মাধবপুর উপজেলা হবিগঞ্জ জেলার একটি প্রশাসনিক এলাকা।
  • ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বৈঠক এখানেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
  • সোনাই ও বোয়ালিয়া নদী এখান দিয়ে প্রবাহিত হয়।
  • ২০২৩ সালে এখানে ২৬৮৩১৫ জন ভোটার ছিল।
  • তেলিয়াপাড়া চা বাগান, মনতলা, হরষপুর এখানকার উল্লেখযোগ্য স্থান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।