মাজেদ আহমেদ নামটি দুই ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। একজন সাবেক বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তা এবং অন্যজন একজন শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী।
প্রথম মাজেদ আহমেদ:
এই মাজেদ আহমেদ (ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ) ছিলেন একজন সাবেক বাংলাদেশী সামরিক অফিসার। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে এই অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট তিনি ও অন্যান্য অফিসাররা বেঙ্গল ল্যান্সার্স অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগালের দূতাবাসে বদলি করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে তিনি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন, যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১৯৯৮ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং ৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন। ২০২০ সালের ১২ই এপ্রিল রাত ১২ টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তিনি জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিলেন এবং ২০০৮ সালে এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পান। তার দীর্ঘ পলাতক জীবন কলকাতা শহরে কাটে।
দ্বিতীয় মাজেদ আহমেদ:
এই মাজেদ আহমেদ ছিলেন আরটিএম আল-কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা, সীমান্তিক সিলেটের সাবেক চেয়ারপার্সন, এবং জকিগঞ্জের আটগ্রাম লুৎফুর রহমান হাইস্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। তিনি ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সিলেটে মারা যান।
উভয় মাজেদ আহমেদের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা এই নিবন্ধটি আপডেট করব।