নাটোরের হালতিবিলের গ্রামীণ নারীরা বর্ষাকালে হাঁস-পালনে লাভবান হচ্ছেন। প্রাকৃতিক উৎসের খাবারের উপর নির্ভর করে তারা রাজহাঁস, পাতিহাঁস ও চিনাহাঁস পালন করেন। চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই হাঁস বিক্রয় উপযোগী হয়। প্রতিটি পাতিহাঁস ৫০০-৫৫০ টাকা এবং রাজহাঁস ১৮০০-২০০০ টাকায় বিক্রি হয়। এই হাঁস পালন তাদের আর্থিক স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করছে এবং স্থানীয়ভাবে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করছে। হালতিবিল এলাকায় প্রচুর সংখ্যক হাঁস পালিত হচ্ছে, যা স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বাজারজাত করা হচ্ছে। নাটোর জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২৫০টি পারিবারিক ও বাণিজ্যিক হাঁসের খামার রয়েছে, যেখানে প্রায় ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৩ টি পাতিহাঁস ও ১০ হাজার ৮৫৫ টি রাজহাঁস লালন পালন করা হয়। এছাড়াও, ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার রয়েছে শতাধিক। জেলায় ডিমের চাহিদা ১৯ কোটি ২৪ লাখ পিস, উৎপাদন ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ পিস। মাংসের চাহিদা এক লাখ ২৫ হাজার ৩০৮ মেট্রিক টন, উৎপাদন এক লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন। গ্রামীণ নারীদের হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু লালন পালনে প্রাণিসম্পদ বিভাগ উদ্যোগ নিচ্ছে।
মাংস ও ডিমের উৎপাদন
মূল তথ্যাবলী:
- হালতিবিলের নারীরা বর্ষায় হাঁস পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
- প্রাকৃতিক খাদ্যের উপর নির্ভর করে সহজে হাঁস পালন সম্ভব।
- হাঁস পালন মাংস ও ডিমের স্থানীয় চাহিদা পূরণ করছে।
- নাটোরে প্রচুর সংখ্যক হাঁস পালিত হয়, যা দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হয়।
- প্রাণিসম্পদ বিভাগ গ্রামীণ নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে।
গণমাধ্যমে - মাংস ও ডিমের উৎপাদন
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
হালতিবিলের হাঁস পালনের ফলে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ হচ্ছে।