বাংলাদেশের মণিপুরী পাড়া: একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাসরত মণিপুরী জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বসবাস করে ‘মণিপুরী পাড়া’ নামে পরিচিত এলাকায়। এই পাড়াগুলো সাধারণত মণিপুরীদের কাপড়ের ব্যবসা, ঐতিহ্যগত শিল্প ও সংস্কৃতির সাথে জড়িত। উল্লেখযোগ্যভাবে, শ্রীমঙ্গলের কাছাকাছি ‘মণিপুরী পল্লী’ নামে একটি এলাকা রয়েছে যেখানে মণিপুরীরা কাপড়ের বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে এবং বিক্রি করে। এই এলাকাটি পর্যটকদের কাছেও বেশ আকর্ষণীয় কারণ মণিপুরী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
স্থান: উল্লেখযোগ্য মণিপুরী পাড়াগুলোর অবস্থান বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে, বিশেষ করে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায়, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বড়লেখা, সুনামগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে। ঢাকার কিছু এলাকায়ও ছোট ছোট মণিপুরী বসতি রয়েছে, যদিও এগুলো অতীতের তুলনায় অনেক ছোট। শ্রীমঙ্গলের আদমপুর ও মাধবপুর এলাকা মণিপুরী জনগোষ্ঠীর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
ঐতিহাসিক ঘটনা: অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে মণিপুর-বার্মা যুদ্ধ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক-সামাজিক কারণে অনেক মণিপুরী বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছিল। এই অভিবাসনের ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে মণিপুরীদের বেশ কিছু বসতি স্থাপিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধেও মণিপুরী জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেছিল।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড: মণিপুরী পাড়াগুলোতে কাপড়ের ব্যবসা প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। মণিপুরীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প ও কাপড় বোনা কাজের জন্য পরিচিত, এবং এগুলির দেশে-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য ও কৃষিকাজে মণিপুরী সম্প্রদায় জড়িত।
খ্যাতি: মণিপুরী পাড়াগুলো তাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি, নৃত্য, সঙ্গীত এবং ঐতিহ্যবাহী পোশাকের জন্য পরিচিত। প্রতিবছর অনুষ্ঠিত রাস মেলা বেশ আকর্ষণীয় এবং পর্যটকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ।
জনসংখ্যা: বাংলাদেশে মণিপুরী জনসংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আরও তথ্য প্রকাশিত হলে এই লেখাটি আপডেট করা হবে।